পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বতীন বন্ধে-এ ভাবে ক্যত কাল থাকবেন আর ? ' . . ... --অনন্তু কাল থাকতে পারি, যদি তীর ইচ্ছা হয় । : ? হঠাৎ তিনি উৎকৰ্ণ হয়ে বয়েন-বৃন্দাবনে গােবিন্দ বিগ্রহের আরতি হচ্চে, চলে দেখে আঁৰি- ייל . . পুষ্প খুশি হয়ে রূল্লে-আমাদের নিয়ে যাবেন ? আপনাঙ্গুড় কৃপা- ? বৈষ্ণব সাধুর জ্যোতিৰ্ম্ময় ঈষৎ নীলাভ দেহ বোমপথে গুর * উড়ে চলেচে, ওরা তার পেছনে পেছনে চলেচে। নভোচারী টুট্ৰিকট আরও অন্য : ; : আত্মাকে ওরা পথে দেখতে গেলে । যতীন কখনাে বৈষ্ণৰ সাধু ওকে চার পাঁচটি বড় বড় গাছের ক্ষুদ্র বাগাষ্ট্র * , ওই দেখা চীরঘাট, ওখানে মহাপ্ৰভু শ্ৰীচৈতন্য স্নান করে উর্দুগােপালের দেখা । “গেয়েছিলেন। বড় পুণ্য স্থান, প্ৰণাম করে। তার পরেই একটা বড় মন্দিরের গর্ভগৃহে সেকালের ঝুৰে আলোয় একটি সুন্দর বিগ্রহের সামনে ওরা গিয়ে দাড়ালে। অনেস্ট লোক আরতি দর্শন করচে। একটা আশ্চৰ্য্য দৃশ্য যতীন এখানে প্রত্যক্ষ করে স্বৰ্গ-মর্ত্যের অপূৰ্ব সম্বন্ধ দেখে অবাক হয়ে গেল। দেহধারী দর্শকদের মধ্যে বহু স্মৃশল্পী দর্শক এসে দাড়িয়ে বিগ্রহের আহ্বতি দর্শন কারচেন, তাদের মধ্যে কয়েকটি আত্মার দিব্য জ্যোতিৰ্ম্ময় দেহ দেখে যতীন বুঝলে ওঁরা উচ্চ শ্রেণীর ভক্ত সাপ * । যতীনের সন্দী বৈষ্ণব সাধু একজনকে দেখিয়ে বল্পেন-কবি ক্ষমাদাস। উনি বৃন্দাবনের বড় ভক্ত, এর মন্দির, এর কুঞ্জবন ছেড়ে থাকতে পাঞ্ছে না। যতীন বল্পে—একটা কথা শুনেছিলাম, আত্মিক লোক থেকে বার বার এলে नॉकेि बाझान अनिवेश ? সাধু বল্পেন-এসো, কবিকে প্রশ্নটা করি । সাধু ও ক্ষেমাদাস পরস্পরকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করলেন। সাধুত্ব গ্ৰন্থ শুনে কবি ক্ষেমাদাস হেসে বন্ধেন-শ্ৰীৰূপগোস্বামীর উজ্জ্বল নীলমণিতে গোপীদের বিরহের দশদিশার বর্ণনা আছে—চিন্তা, উদ্যোগ, প্ৰলাপ এমন কি মৃত্যুদশা, উম্মাদ রোগ পৰ্যন্ত!! আমার এমন এক সময় ছিল বৃন্দাবনের যমুনাতটি না দেখলে প্রায় তেমনি অবস্থা-প্রাপ্তি ঘটতো। বৃন্দ্যাবনের মত স্থানে এলে অনিষ্ট হয় না, কৃষ্ণে মাশক্তি তো আত্মার ইষ্টই করে, উর্দুলোকে নিয়ে যায়। বৈষ্ণৰ সাধু বন্ধেন-কৃষ্ণে আসক্তি কৃষ্ণপদে মতি এনে দেয় । হরিদাস স্বামী কি বলেছিলেন সপ্তগ্রামে মনে নেই ? " : ه ့် ...်ပွါး ... ႏွ ক্ষমাদাস বলেন-শুনেচি বটে। তবে মনে রাখবেন, আমি কবি ছিলাম, ಇತ್ತ್ರ';