পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাণেশ্বরবিদ্যালঙ্কার।

দিন নিতান্ত বিরক্ত হইয়া ব্রাহ্মণীকে বলিলেন, “তুমি আজ মথুরেশকে ছাই খেতেদিও।” সাধ্বী পত্নী, পতির আজ্ঞালঙ্ঘন পাপ মনে করিয়া সেই দিন মথুরেশের ভোজন পাত্রের এক পার্শ্বে এক খানি অঙ্গার দিয়াছিলেন। মথুরেশ ভোজন কালে তাহা জানিতে পারিয়া জননীকে জিজ্ঞাসা করিলেন। জননী প্রথমতঃ অনেক ছল করিয়া পরে প্রকৃত বিষয় প্রকাশ করিলেন। মথুরেশ তখনি ভোজনে বিরত হইয়া গৃহ-বহির্গত হইলেন। বিদেশে গিয়া যে রূপেই হউক, নানা বিদ্যায় পণ্ডিত হইয়া বহু বৎসর ভ্রমণের পর একদিন শ্যামাপূজার রজনীতে সন্ন্যাসীর বেশে নিজ গৃহে উপস্থিত হয়েন। প্রতিমার সম্মুখ প্রাঙ্গণে দণ্ডায়মান হইয়া যদৃচ্ছাক্রমে শ্যমাশক্তির স্তবাত্মক অষ্টাধিক শত সংস্কৃত শ্লোক[১] আবৃত্তি করিলেন। ক্ষণকাল পরে, “যদি কেহ শ্লোক কয়টী লিখিয়া রাখিত” এইরূপ রলিয়া অল্প আক্ষেপ প্রকাশ করিলেন। সন্ন্যাসীর স্তবপাঠে সকলেই মোহিত ও আর্দ্র হইয়াছিলেন; সুতরাং তাঁহার আক্ষেপে সকলেই আক্ষিপ্ত হইলেন। ঐ সময়ে একটা বালক নিজ পিতার সহিত সন্ন্যাসীর নিকট দণ্ডায়মান ছিল।


  1. এই অষ্টোত্তর শত শ্লোক অতি উৎকষ্ট কবিত্ব শক্তিসম্পন্ন। শ্যামা ক পলতানামে খ্যাত হইয়া অদ্যাপি পুস্তকাকারে বর্ত্তমান আছে।