পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯০
চরিতাষ্টক।

গণ, হিন্দু আঢ্যগণের সাহায্যে ঐ পুস্তকের উপর অনেক আপত্তি উত্থাপিত করিয়া কতকগুলি পুস্তক বাহির করিলেন। বিদ্যাসাগরও প্রচুর পরিমাণে শাস্ত্রীয় প্রমাণ, যুক্তি ও বিচারশক্তি দ্বারা ঐ সকল আপত্তির খণ্ডন করিয়া তিন চারশত পৃষ্ঠা পরিমিত “বিধবা বিবাহ বিষয়ক দ্বিতীয় পুস্তক” এই নামে এক বৃহৎ গ্রন্থ প্রচার করিলেন। উহার উত্তর দানে কেহ সমর্থ হইলেন না। সুতরাং প্রায় সকলকেই বিশ্বাস করিতে হইল যে, বিধবা বিবাহ অশাস্ত্রীয় নহে। প্রসন্নকুমার ঠাকুর, রামগোপাল ঘোষ, রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ প্রভৃতির উদ্যোগে বিদ্যাসাগর কলিকাতার ব্যবস্থাপক সভা হইতে পর বৎসর এক আইন্ পাস করাইলেন। উহার মর্ম্ম এই বিধবা বিবাহে জাত পুত্রগণ পৈতৃকধনের অধিকারী হইবে। ঐ আইনকে ১৮৫৬ সালের ১৫ আইন কহে। উপরি উক্ত জজ‍্পণ্ডিত শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন এই নূতন নিয়মানুসারে ১২৬৩ সালের ২৩এ অগ্রহায়ণ সব প্রথম বিধবা বিবাহ করেন। মদনমোহন তর্কালঙ্কারই এই বিবাহের ঘটক ছিলেন। দেশাচার বিরুদ্ধ স্ত্রীশিক্ষা ও বিধবা বিবাহে সহায়তা করায় মদনমোহনের উপর গ্রামস্থ লোকরা খড়্গ-হস্ত হইয়াছিলেন। তিনি এই অপরাধে গ্রাম মধ্যে আট নয় বৎসর সমাজচ্যুত হয়। ছিলেন। এছাড়া, এজন্য তাঁহাকে অনেক নিগ্রহ ভোগ