পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ ቆ፡ b” ধৰ্ম্মজীবন ; যাহাকে মুক্তি বলে তাহা আপনাপনি সিদ্ধ হয়। বৈষ্ণব কবিগণ যে বলিয়াছেন “জগতের সারা ভক্তি মুক্তি তার দাসী” তাহা অতীব সত্য কথা । মুক্তিকে যে অর্থেই গ্ৰহণ করা না কেন ঈশ্বরে অকপট প্ৰেম জন্মিলেই তাহা সুসাধ্য হয় । এদেশে মুক্তি শব্দের প্রধানতঃ তিন প্ৰকার অর্থ দেখা গিয়াছে। প্ৰথম, আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক এই ত্ৰিবিধ দুঃখের আত্যন্তিক ও ঐকান্তিক নিবৃত্তিই মুক্তি ; দ্বিতীয়, যে মোহ নিবন্ধন মানুষ অনিত্যকে নিত্য জ্ঞানে তাহাতে আসক্ত হইতেছে সেই মোহের নিবৃত্তি মুক্তি ; তৃতীয়, যে কৰ্ম্মবন্ধন বশতঃ মানুষ বার বার সংসার-পাশে বদ্ধ হইতেছে সেই কৰ্ম্মবন্ধনের নিরাত্তি মুক্তি। মানুষ অকপট প্রেমে সেই সচিদানন্দ পরম পুরুষের সহিত একীভূত হইলে এই সকল প্রকার মুক্তিই কি সুসাধ্য হয় না ? ঋষিগণ বলিয়াছেন ঃ সমোদিতে মোদিনীয়ং হি লদ্ধ। তাঁরতি শোকং ভরতি পাপ্নানং গুহাগ্ৰন্থিভ্যো বিমুক্তোহ মৃতো ভবতি ।”

    • অর্থ-সাধক এই মেদিনীয় পরমেশ্বরকে লাভ করিয়া পরমানন্দ লাভ করেন; তিনি শোক ও পাপ হইতে উত্তীৰ্ণ হন ; এবং সকল প্রকার হৃদয়-গ্রন্থি হইতে বিমুক্ত হইয়া মুক্তি লাভ করেন।” ইহা সত্য কথা । প্ৰেমে তাহাকে লাভ করিলেই মানুষের সকল বন্ধন আপনাআপনি খসিয়া পড়ে।

কিন্তু এই মুক্তির আকাঙক্ষ। সকল হৃদয়ে প্রবল দেখা যায় DD A BBBD DD BBDBDBBD DB LLLBD DBBD DBD