পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

羽变 by যাইতে পারে। প্ৰঘুপ্ত আত্মা, প্রবুদ্ধ আত্মা ও মুমুক্ষু আত্মা ! প্ৰযুপ্ত আত্মা যাহারা তাহারা আপনাদের আত্মার অবস্থার বিষয়ে অনভিজ্ঞ ও তৎপ্ৰতি উদাসীন । এই সকল আত্মা গতানুগতিকের অধীন হইয়া সংসার-গতিকেই প্ৰাপ্ত হইতেছে। এই প্ৰযুপ্ত আত্মাদিগের মধ্যে আবার তিন শ্রেণী আছে । প্ৰথম, যাহারা বিষয়াসক্তিতে প্ৰযুপ্ত, দ্বিতীয় যাহারা স্বৈরাচারে প্ৰযুপ্ত, তৃতীয় যাহারা মৃত-ধৰ্ম্মে প্ৰযুপ্ত। বিষয়াসক্তিতে প্ৰযুপ্ত ব্যক্তিগণ বিষয়কেই শ্রেষ্ঠ বলিয়া জানিয়াছে এবং তাহারই অনুসরণ করিতেছে । ঈশ্বর বলিয়া যে একজন আছেন, ধৰ্ম্ম বলিয়া যে কিছু আছে, পরকাল বলিয়া যে কিছু আছে ইহা ইহারা স্মরণ করে না, প্ৰচলিত বিশ্বাস বলিয়া, এ সকল বিশ্বাস মানবের পক্ষে স্বাভাবিক বলিয়া, মৌখিক বিশ্বাস করে মাত্র, সে বিশ্বাস তাহদের চিন্তা ও কায্যে প্ৰবেশ করে না । তাহার। তুলাদণ্ডে ওজন করিয়া দেখিয়াছে যে ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বর অপেক্ষ টাকা মূল্যবান, বিষয় বিভব মূল্যবান, সুতরাং তাহারা ধৰ্ম্ম ও ঈশ্বরের চিন্তাকে পশ্চাতে রাখিয়া বিষয়কে অগ্ৰে স্থাপন করিয়াছে। মানবাত্মার যে একটা পরমার্থিক দিক আছে সে বিষয়ে তাহারা একেবারে অন্ধ সুতরাং সে বিষয়ে তাহারা প্ৰযুপ্ত । দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রযুপ্ত আত্মা সকল স্বৈরাচারে প্রযুপ্ত। ইহাদের মন পুৰ্ব্ব শ্রেণীর ন্যায় ক্ষুদ্র বিষয়াসক্তির দ্বারা চালিত নহে । ইহাদের লক্ষণ এই যে ইহারা সর্বদ ও সর্বতোভাবে