পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবের প্রকৃতিগত পারমার্থিকতা । SQ3 পারে যে, এ জাতি হইতে বুঝি ধৰ্ম্মের নাম বিলুপ্ত হইবে । কিন্তু অপেক্ষা কর, ধৰ্ম্মের চিরসহচরী একজন আছেন, তিনি নীতি, তাহাকে অগ্ৰে নিজ অধিকার স্থাপন করিতে দেও, দেখিবে ধৰ্ম্ম পশ্চাতে আসিতেছেন। সে জাতি মধ্যে গৃহ ও পরিবার সকলকে উন্নত হইতে দেও, শিল্প সাহিত্যের বিকাশ হইতে দেও, সামাজিক ও রাজনৈতিক কৰ্ত্তব্য ও দায়িত্বের জ্ঞান ফুটিতে দেও, কোনও প্রকার সামাজিক বিপ্লব বা দুৰ্গতি ঘটিয়া তাহাদের প্রকৃতিকে গভীর ও চিন্তাশীল হইতে দেও, দেখিবে ভাব ও কার্যের বিশুদ্ধতা ও চিন্তার গভীরতার সঙ্গে সঙ্গেই ধৰ্ম্মভাব জাগিতে আরম্ভ হইবে । জগতে নাস্তিকতা প্রচার হইলই বা, প্ৰাচীন ধৰ্ম্মসমাজ ও প্রাচীন প্রণালী সকল ভাঙ্গিয়া চুরমার হইয়া গোলই বা, হে অল্প বিশ্বাসি ! নিরুদ্বেগে বাস কর, একজন সেতু স্বরূপ হইয়া ধৰ্ম্মকে ধারণা করিতেছেন । কৃষকের ক্ষেত্রের জল বহিয়া অন্য ক্ষেত্রে যায় না কেন ? বলিবে সেতু থাকে বলিয়া ; গ্ৰহ নক্ষত্র সকল সুৰ্য্যের চারিদিকে ঘণ্টায় হাজার হাজার মাইল দ্রুতবেগে ঘুরিতেছে, তাহদের পরমাণু সকল পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইয়। ছুটিয়া যায় না কেন ? বলিবে মাধ্যাকর্ষণ তাহাদিগকে সেতুস্বরূপ হইয়া রক্ষা করিতেছে বলিয়া ; তুমি যে রাজপথে চলিতেছ। ভাবিয়া দেখ তোমার মস্তকের উপরে কত মণ বায়ু রহিয়াছে, তোমার শরীর পিষিয়া ছাতু হইয়া যায় না কেন ? বলিবে চারিদিকের বায়ুমণ্ডল তোমাকে রক্ষা করিতেছে