পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbr ধৰ্ম্মজীবন । মনে গাম্ভীৰ্য্যরস-সম্বলিত সৌন্দর্ষ্য-বোধ জন্মে ? মানব-ইতিবৃত্তে যে সকল উন্নতদেহ ধৰ্ম্মবীর দণ্ডায়মান রহিয়াছেন, তাহাদিগকে দেখিলে কি চমৎকার-সম্বলিত গাম্ভীৰ্য্য-রাসের আবির্ভাব হয় না ? বুদ্ধের বৈরাগ্য, মহম্মদের দৃঢ়চিত্ততা, যীশুর আত্ম-সমৰ্পণ, এ সকলের মধ্যে কি এক প্রকার মনোমুগ্ধকারী সৌন্দৰ্য্য নাই ? যে কেহ নিবিষ্টচিত্তে এই সকল চরিত্রের অনুধ্যান করিয়াছেন তাহারা সকলেই বলিবেন, আছে। কিন্তু অনেক লোকে ঐ সৌন্দৰ্য্যটুকুর ভাব গ্ৰহণ করিয়াই পরিতৃপ্ত হইয়া থাকেন, তাহার অতিরিক্ত যে আর কিছু চাই তাহা তাহদের মনে হয় না। বুদ্ধের বৈরাগ্যের বিষয়ে চিন্তা করিয়া যখন বলিতেছি, “ওঃ কি বৈরাগ্য” তখন তুমি যে তাহার অনুকরণ করিতে বাধ্য তাহা তুমি ভুলিয়া যাও । ঈশ্বর যেমন নীলাকাশ ও বৃক্ষলতার হরিদ্বর্ণ দেখিবার জন্য দিয়াছেন, তেমনি কি তোমরা দেখিয়া বাঃ বাঃ করিবে বলিয়াই সাধু মহাজনাদিগকে অভু্যুখিত করিয়াছেন ? বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের সাধু জনের জীবনচরিত সংগ্ৰহ করিতে কয় দিন লাগে ? ফুলের তোড়ার ন্যায়, চরিতাবলী সৎগ্ৰহ করিয়া মানুষের আধ্যাত্মিক দ্রাণেন্দ্ৰিয়ের ক্ষণিক পরিতৃপ্তি সাধন করাই কি যথেষ্ট ? না সেই সকল দৃষ্টান্তের প্রভাবে হৃদয়কে আলোড়িত করিয়া তুলিয়া মানুষের ধৰ্ম্মজীবনের পোষণ করা উদ্দেশ্য ? চিন্তা করিয়া দেখি আমরা অনেক সময় ফুলের তোড়ার ন্যায় সাধুচরিত সংগ্ৰহ করি কি না, ছবি দেখার ন্যায় সাধুজীবন দেখি কি না ? আজি পৰ্য্যন্ত যত সাধুচরিত আলো