পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম মানব-জীবনের আলোক । RS এই জগতের সঙ্গে ; বাহিরে যদি অন্ন জল না থাকিত, দেহে ক্ষুধা পিপাসা থাকিয়া কি হইত ? দেখিতেছি মানব-জীবন যাহা চায়, জগত তাহা ধারণ করিতেছে। দুইপাটী দাতের পরস্পর গঠন দেখিলেই যেমন বোধ হয় এক পাটী অপর পাটীর জন্য, তেমনি মানব-জীবন ও জগত উভয়কে একত্র বিচার করিালেই দেখা যায় যে এক অপরের জন্য । এ আশ্চযা সম্বন্ধ ও এ অপূর্ব নির্ভর কে স্থাপন করিল ? মানুষ নিজে কি স্থাপন করিয়াছে ? তৎপরে ভাবিয়া দেখ কেবল এই জড় জগতের সহিত মানব-জীবনের সম্বন্ধ নয়, মানব সমাজের সঙ্গেও দুর্ভেদ্য সম্বন্ধ। ব্যান্ত্রের শিশুটির যদি কেবল স্তন্য দান করিয়া পালন করিবার জন্য মাতা থাকে, তাহা হইলেই হইল, ব্যাঘ-সমাজ বলিয়া একটা সমাজ থাকিবার প্রয়োজন নাই। এই কারণে ব্যাঘ্র-সমাজ বলিয়া সমাজও নাই । কিন্তু মানব-জীবনের অবস্থা অন্য প্রকার। মানব-সন্তানের প্রত্যেককে যদি জমি চাষিয়া, বীজ বপন করিয়া, শস্য কৰ্ত্তন করিয়া, তবে ক্ষুধা নিবারণ করিতে হয়, অথবা বনে বনে, ছুটিয়া পশুহত্যা করিয়া তাহদের চৰ্ম্মের দ্বারা বা কার্পাসের চাষ করিয়া, তন্তু বুনিয়া, বস্ত্ৰ করিয়া তদ্বারা শীত নিবারণ করিতে হয় তবে আর কাহারও বাচিবার DDDBD KLBDBS D S q SYYSLDS S DDBDSODBBBBS SBT Sq উন্নতির জন্য এই জড় জগতটার যেমন প্রয়োজন, মানবসমাজেরও তেমনি প্রয়োজন । অতএব জড় রাজ্যের শক্তি