পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ধৰ্ম্মজীবন । দিবেন যাহার। আর জগতে কোনও বস্তুর প্রতি আসক্তি নাই এবং এক কপৰ্দক সম্বল নাই। তখন নবাব খাটি ফকির অন্বেষণ করিতে লাগিলেন । যদি শুনিতে পান যে, তাহার রাজ্যের নিকটে কোনও ফকির আসিয়াছে, অমনি তাহার নিকটে নানা প্রকার উপঢৌকন পাঠাইয়া দেন । যাহার কিঞ্চিৎ লালসা দেখেন তাহোকেই নকল ফকির বলিয়া পরিত্যাগ করেন । এইরূপে অনেক দিন গেল, মনের মতন ফকির পাইলেন না । অবশেষে অপর কোনও দেশের নবাবের এক পুত্ৰ কোনও প্রকারে সেই কন্যার গুণের কথা শুনিয়া বা রূপলাবণের প্রশংসা শুনিয়া প্ৰতিজ্ঞ করিল, “যে রূপে পারি, এই কন্যাকেই বিবাহ করিতে হইবে।” এক দিন সেই যুবক নবাবের দরবারে উপস্থিত হইয়া বলিল, “মহারাজ ! আমি অমুক নবাবের পুত্র ; আপনার কন্যাকে বিবাহ করিবার অভিলাষে আপনার নিকটে উগস্থিত হইয়াছি। অনুগ্ৰহ করিয়া যদি উহাকে আমার সহিত বিবাহ দেন, তবে আমি পরম উপকৃত হই ।” তখন নবাব উত্তর করিলেন, “আমি সাঁচা ফকির দেখিয়া আমার কন্যার বিবাহ দিব, এইরূপ সঙ্কল্প করিয়াছি।” তখন সেই যুবক নিরাশ অস্তরে গৃহে ফিরিয়া গেল এবং ফকিরের বেশ পরিধান করিয়া ফকির সাজিল এক বৎসর অতীত হইলে ফকির বেশধারী সেইষ্ট যুবক অ্যাসিয়া নবাবের রাজ্যের সন্নিকটে একস্থানে বাস করিতে লাগিল । সকলে আসিয়া নবাবকে সংবাদ দিল যে আর এক