পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

B ধৰ্ম্মজীবন । পারি ? আমাদের আত্মজ্ঞান পরিমিতের জ্ঞান, এই পরিমিত জ্ঞানকে অবলম্বন করিয়া অপরিমিত ও অনন্তকে কি প্রকারে জানিতে পারি ? তবে বলিতে হয়, তিনি অনন্ত ব্ৰহ্ম নহেন, কিন্তু আমাদের প্রকৃতির অনুরূপ স্বরূপ-সম্পন্ন আর এক মহাশক্তিশালী জীব । এ কথা স্বীকাৰ্য্য, তাহার স্বরূপের সহিত আমাদের স্বরূপের কিঞ্চিৎ সাদৃশ্য না থাকিলে, আমরা তাহাকে জানিতে পারিতাম না, সাদৃশ্য আছে বলিয়াই জানিবার পথ আছে; কিন্তু এই সাদৃশ্যে র্তাহার অনন্তত্বের কোন ব্যাঘাত হয় না, বরং ইহাতেই প্ৰেম ভক্তি সম্ভব হইয়াছে। যাহা হউক। এই মহাতৰ্কারণ্যে প্রবিন্ট না হইয়াও সংক্ষেপে এই কথা বলা যাইতে পারে, যে আমরা দুই প্রকারে ব্ৰহ্মসত্তার ধ্যান করিতে পারি। প্ৰথম, ইহা আমরা সকলেই অনুভব করি, যে এই ব্ৰহ্মাণ্ডেই ব্ৰহ্মসত্তার ও ব্ৰহ্মশক্তির পরিসমাপ্তি নহে। আমাদের একটী সঙ্গীতে আছে, “প্ৰকাশে জগৎ তার মহিমার কণিকা ।” ইহা অতীব সত্য কথা । ব্ৰহ্মাণ্ড তাহার সত্তা ও শক্তির অতি ক্ষুদ্রতম অংশই প্ৰকাশ করিতেছে । ব্ৰহ্মাণ্ডে যাহা ব্যক্তি তাহা আমাদের নিকট ব্ৰহ্মসত্তা বা লীলাময় ঈশ্বর, আর যে ব্ৰহ্মসত্তা ব্ৰহ্মাণ্ডের অতীত ও অপ্ৰকট তাহাকে ব্ৰহ্মচৈতন্য বলা যাউক । এই ব্ৰহ্মচৈতন্য আমাদের বোধ্যাতীত, আমরা ব্ৰহ্মাণ্ডবিহারী লীলাময় ঈশ্বরকেই জানিতেছি এবং তিনিই আমাদের উপাসনার গম্য। দৃষ্টান্তস্বরূপ মনে কর, অসীম নভোমণ্ডলের যে অংশ আমাদের দৃষ্টিরেখার অন্তভূতি, তাহাই আমা