পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বর-লাভে নিপুণত । ১৭৩ মহাগ্ৰন্থ সর্বদা সকলেরই চক্ষের সমক্ষে প্রসারিত রহিয়াছে। সকল জ্ঞানের তত্ত্ব ইহার মধ্যেই আছে। গ্ৰন্থ বা শাস্ত্ৰ আর কিছুই নহে, বিভিন্ন জাতির সুধীগণ এই উভয় গ্রন্থের মধ্যে - যে সকল তত্ত্বকথা পাঠ করিয়াছেন, তাহাই মসী লেখনীর সাহায্যে নিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু ঈশ্বর-প্রদত্ত উক্ত উভয় মহাগ্রন্থে পাণ্ডিত্য লাভ করিবার জন্য যে সকল স্থলেই মানব-প্ৰণীত বিবিধ গ্ৰন্থ ও শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করা প্ৰয়োজন হইয়াছে। তাহাও নহে । জগতে এরূপ অনেক লোক দেখা গিয়াছে, যাহারা বিদ্বান ছিলেন না, কিন্তু জ্ঞানী ছিলেন। বুদ্ধ, যীশু বা মহম্মদ ইহঁরা বিদ্যার জন্য প্ৰসিদ্ধি লাভ করেন নাই, কিন্তু জ্ঞানের জন্য চিরস্মরণীয় হইয়াছেন । ইহঁদের জ্ঞান কোথা হইতে উৎপন্ন হইল ? ইহঁর সাক্ষাৎ ও অব্যবহিতভাবে জগৎ ও মানব-প্ৰকৃতিরূপ উক্ত দুই মহাগ্ৰস্থ অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। একটু নিগুঢ়ভাবে চিন্তা করিলেই দুষ্ট হইবে যে সাক্ষাৎ ও অব্যবহিতভাবে জগৎ ও মানব-প্ৰকৃতিকে অধ্যয়ন করিবার যে শক্তি, তাহাকে বিকাশ করিবার উদ্দেশেই অধ্যয়ন ও বিদ্যার প্ৰয়োজন ; এবং সেই জন্য জ্ঞানিগণ গ্ৰন্থ সকল রচনা করিয়াছেন । কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ অনেক লোকের এরূপ শোচনীয় দশা দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাহদের বিদ্যা তাহদের জগৎ ও মানব-প্ৰকৃতির দর্শনের শক্তিকে বিকাশ না করিয়া তাহদের বুদ্ধিকে আরও জড়ীভূত করিয়া দেয়। এই সকল লোক অবশেষে পণ্ডিত-মুখ-শ্রেণীগণ্য হইয়া থাকে। জ্ঞান-রাজ্যে যেমন এক শ্রেণীর পণ্ডিত-মুখ আছে, যাহারা