পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এষান্ত পরম সম্পাৎ ৷ উপনিষদের একটি উৎকৃষ্ট বচন আমরা অনেকবার ব্ৰাহ্মসমাজের বেদী হইতে পাঠ করিয়াছি, এবং সময়ে তাহার উৎকৃষ্টতা ও সৌন্দৰ্য অনুভব করিয়া মুগ্ধ হইয়াছি। হৃদয় মনের যে উচ্চ অবস্থাতে জ্ঞান ও প্রেমে মিশিয়া যায়, এবং মানব এই মর্ত্যধামকে অতিক্ৰম করিয়া এক প্রকার অমর্ত্য আনন্দ রসের আস্বাদন করিতে থাকে, ঐ বচনটী সেই প্রকার উচ্চ অবস্থাতে রচিত হইয়া থাকিবে । বচনটী এই,- “এষাস্য পরম গতিরোষান্ত পরম সম্পাৎ এযোৰহস্য পরমে লোক এযোৰহস্য পরমতমানন্দঃ ” অর্থ-এই পরাৎপর পরম পুরুষই এই আত্মার পরম গতি, ইনিই ইহার পরম সম্পদ, ইনিই ইহার পরম লোক, ইনিই ইহার পরম আনন্দ ।” ঋষিরা সেই পরমাত্মাকে আমাদের আত্মার পক্ষে পরম সম্পত্তি বলিয়া বৰ্ণনা করিলেন কেন ? অভিপ্ৰায় এই-বিষয়ী লোকে মহামূল্য সম্পত্তি লাভ করিলে যে প্রকার। আনন্দিত হয়, ব্ৰহ্মপরায়ণ ব্যক্তিও সেই পরাৎপর পরম পুরুষকে লাভ করিয়া সেই প্ৰকার অ্যানন্দিত হইয়া থাকেন। কেবল যে আমাদের দেশের ঋষিগণ এই প্রকার দৃষ্টান্তের দ্বারা ধৰ্ম্মধনের মহামূল্যতা প্ৰকাশ করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন তাহা নহে, অপরাপর দেশের সাধুগণও ঐ প্রকার দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। মাহাত্মা ষীশুর উপদেশাবলির মধ্যে