পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপসী ব্ৰহ্ম বিজিজ্ঞাসস্থত। RV ধৰ্ম্মপদ নামক বৌদ্ধগ্রন্থে একটী সুন্দর আখ্যায়িকা আছে ; -পুরাকালে বুদ্ধ যখন শ্রবস্তি নগরের সন্নিহিত জেতবন নামক স্থানে বাস করিতেছিলেন, তখন একদিন একজন ধনী গৃহপতি তঁহার নিকটে আসিল ; এবং তঁহার চরণে প্ৰণত হইয়া বলিল,-“হে জগতের বন্দনীয় গুরো ! আমি যখন উপাসনা বা অন্য কোনও ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্ৰবৃত্ত হই, তখন কোনও না কোন স্বাৰ্থ-প্ৰবৃত্তি প্ৰবল হইয়া আমার চিত্তকে চঞ্চল করে ও আমার মনের শান্তি হরণ করে । আপনি কৃপা করিয়া ইহার উপায় নির্দেশ করুন।” শাক্যসিংহ তাহাকে বসিতে আদেশ করিয়া তাহার নাম ধাম জিজ্ঞাসা করিলেন । তখন সে পুনরায় চরণে প্ৰণত হইয়া বলিল, “যে ভূতপূর্ব রাজার অধিকার কালে সে রাজার হাতীর মাহুত ছিল ।” শাক্যসিংহ বলিলেন,-“যেরূপে হাতী বশ করিয়াছ সেইরূপে আপনাকে বিশ করিবে।” ইহাও সেই ভগবদগীতার কথা-অভ্যাস দ্বারা আপনাকে বশীভুত কর। হস্তীকে বশীভুত করার ন্যায় “অভ্যাসের” কাৰ্য্যকারিতার উৎকৃষ্টতর দৃষ্টান্ত আর হইতে পারে না । হস্তীকে পোষ মানান কিরূপ দুষ্কর শ্রমসাধ্য ও সময়সাধ্য ব্যাপার তাহ সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে। আমরা দেখি হস্তী প্ৰকাণ্ড বলবান জন্তু হইয়াও ক্ষুদ্র মানবের বশীভুত রহিয়াছে ! “বোস” বলিলে বসিতেছে, “ওঠা’ বলিলে উঠিতেছে! সমুদ্ৰায় আদেশের অর্থ গ্ৰহণ করিতেছে, ও তাহা সম্পাদন করিতেছে! কিন্তু সেই বাধ্যতার পশ্চাতে যে কতদিনের সাধনা রহিয়াছে তাহা ভুলিয়া যাই। বন্য অবস্থাতে তাহাকে