পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মসাধকের সুখভোগ । , two হইতে দুরে গিয়া লাভ করিতে হয়, তাহা তোমার আমার বন্ধনের কারণ হয় । সেই খানেই মোহ এবং আসক্তির জন্ম । বিমল ও অকপট ঈশ্বর-প্রীতি যে হৃদয়ে বাস করিতেছে, তাহার নিকট সকলি মিন্ট। প্রেমের চক্ষু মিষ্টতার চক্ষু | প্ৰেম হৃদয়কে নবীন করে, প্ৰকৃতিকে সুন্দর করে । প্রেমের চশমা চক্ষে পরিয়া জগতকে দেখ, সমুদায় পদার্থকে সৌন্দর্ঘ্যে ভূষিত দেখিবে, চারিদিক হইতেই সুখের সমাচার আসিবে। বরং এ কণা বলিলে অত্যুক্তি হয় না যে সামান্য বিষয়ী লোকে বিষয় ভোগ করিয়া যে সুখ পায়, ঈশ্বরে প্রীতিমান ব্যক্তির নিকট সেই সকল বিষয় দশগুণ সুখকর । বিশ্বাসী ও প্রেমিক জন যে নানাবিধ সুখ ভোগ করেন, তন্মধ্যে তিনটী নিয়ম আছে। সেই ত্ৰিবিধ নিয়ম বর্তমান না থাকিলে মানুষ কখনই বিমল সুখ অনুভব করিতে সমর্থ হয় না। প্রথম নিয়ম, বিমল সুখ ভোগ করিবার পক্ষে প্রয়োজন এই যে মানুষ সুখের প্রার্থী হইবে না। সুখ তাহার আকাঙ্খার বস্তু হইবে না । সে সুখ-নিরপেক্ষ হইয়া, সৰ্ব্বান্তঃকরণে ঈশ্বরেচ্ছার অনুগত হইবে, নিজ জীবনের উন্নতি সাধনে সযত্ন হইবে, জীবনের কৰ্ত্তব্য সকল পালনে মনোযোগী হইবে, তাহা হইলেই সুখ আপনা। আপনি তাহার নিকটে আসিবে। যাহারা সুখবাদী, র্যাহাঁদের মত এই যে মানুষ সর্ববিধ কাৰ্য্যে সুখকেই অন্বেষণ করে, এবং দুঃখ-নিবৃত্তি ও সুখোৎপত্তির দ্বারাই সকল কাৰ্য্যের উৎকৰ্ষাপকর্ষের বিচার করিতে হইবে, তাহারাও এই কথা স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছেন, যে সুখকে