পাতা:ধর্ম্মপুস্তকের প্রামাণ্য.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X8e মধ্যে যে ২ শব্দ অর্থের মূলস্বৰূপ, সেই সকল শব্দ ভালু আদেশানুসারে লিম্বিত হইয়াছে, যেহেতুক উক্ত লেখকেরা “মনুষ্যের জ্ঞাপিত বাক্যদ্বারা না কহিয়া “ পারমার্থিক কথাতে পারমার্থিক উপদেশ দিয়া পৰিত্ৰ “ আত্মার জ্ঞাপিত ৰাক্যদ্বারা ঐ বিষয় কহিতেন।” ১ করিন্থীয় ২ : ১৩ । ইহার উদাহরণ । “ ইব্রাহীম পরমেশ্বরেতে বিশ্বাস * করিলে তিনি তাহার বিশ্বাসকে পূণ্যার্থে গণনা করি“লেন।” আদিপু ১৫ ; ৬ । এই কথা কে কহেন ? না, তাহ ইতিহাসলেখক মূসার বাক্য । কিন্তু তাহারই বাক্য হওয়াতে তাহ ঈশ্বরীয় বচনের তুল্য, এব^ ‘বিশ্বাস’ ও ‘পুণ’ ও ‘গণনা করা, এই তিন শব্দ যে ঈশ্বরের আদেশানুসারেই লিখিত ইহয়াছে, তাহ কে অস্বীকার করিতে পারে ? ধৰ্ম্মপুস্তকের মধ্যে যত গ্রন্থ আছে সেই সকল গ্রন্থ উক্ত ছয় লক্ষণ বিশিষ্ট এৰ = সমানৰূপে ঈশ্বরদত্ত । “ ঐ সকল শাস্ত্র (অর্থাৎ ধৰ্ম্মপুস্তকের প্রত্যেক গ্রন্থ) “ ঈশ্বরের অাবি ভাবে দত্ত” ইত্যাদি । ২ তীম ৩ : ১৬ । আর প্রভূ যীশু খ্ৰীষ্ট ও র্তাহার প্রেরিতের আদিভাগের নানা গ্রন্থের নানা প্রকার কথার প্রস্তাব উত্থাপন করিয়াও ঐ সকল গ্রন্থ যে সমানরূপে ঈশ্বরদত্ত নহে, এমন সন্দেহ এক বারও প্রকাশ করেন নাই। তথাপি সূৰ্য্য ও চন্দ্র ও তারাগণ সমানরূপে ঈশ্বরের সৃষ্ট হইলেও যেমন তাহার মধ্যে ভেজের তারতম্য আছে, তদ্রুপ ধৰ্ম্মশান্ত্রের সকল গ্রন্থ সমানৰূপে ঈশ্বরদত্ত হইলেও তাহার মধ্যে পরিত্রাণ