3 е ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । স্পষ্টই দেখিব যে, ইহা প্রমাণ করা যাইতে পারে। কিন্তু ঐ ইউরোপীয় দার্শনিকগণ এই তত্ত্বট জানিলেও মনোবিজ্ঞান অনুসারে উহা ব্যাখ্যা করিতে পারেন না। র্তাহার এই তত্ত্বের আভাস মাত্র পাইয়াছেন । প্রথমতঃ, আমরা এই প্রাচীন মনোবৈজ্ঞানিকগণের আর একটা সিদ্ধান্ত লইয়া আলোচনা করিব—উহাও একটু অদ্ভুত রকমের—তাহা এই যে, স্থূল ভূতগুলি সূক্ষম ভূত হইতে উৎপন্ন । যাহা কিছু স্থূল, তাহাই কতকগুলি সূক্ষম বস্তুর সমবায়-স্বরূপ, অতএর স্থলভূতগুলিও কতকগুলি সূক্ষবস্তুগঠিত—ঐ গুলিকে সংস্কৃত ভাষায় তন্মাত্রা বলে । আমি একটী পুষ্প আঘ্ৰাণ করিতেছি ; উহার গন্ধ পাইতে গেলে, কিছু অবশ্য আমার নাসিকার সংস্পর্শে আসিতেছে। ঐ পুষ্প রহিয়াছে—উহা আমার দিকে চলিয়া আসিতেছে, দেখিতে পাইতেছি না ; কিন্তু যদি কিছু আমার নাসিকার সংস্পশে না আসিয়া থাকে, তবে আমি গন্ধ কিরূপে পাইতেছি ? ঐ পুষ্প হইতে যাহা আসিয়া আমার নাসিকার সংস্পর্শে আসিতেছে, তাহাই তন্মাত্রা, ঐ পুষ্পেরই অতি সূক্ষম পরমাণু, উহা এত সূক্ষ যে, যদি আমরা সারা দিন সকলে মিলিয়া উহার গন্ধ আস্ত্ৰণ করি, তথাপি ঐ পুষ্পের পরিমাণের কিছুমাত্র হ্রাস বোধ হইবে না । তাপ, আলোক, এবং অন্যান্য সকল বস্তু সম্বন্ধেও ঐ একই কথা । এই তন্মাত্রাগুলি আবার পরমাণু, রূপে পুনর্বিভক্ত হইতে পারে। এই পরমাণুর পরিমাণ লইয়া, বিভিন্ন দার্শনিকগণের বিভিন্ন মত আছে ; কিন্তু আমরা জানি,
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৮
অবয়ব