পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8 ধৰ্ম্মবিজ্ঞান | মহতের মধ্যে। ব্যষ্টি লইয়া যখন আমি আলোচনা করিতে প্রবৃত্ত হইব, তখন এ কথা আপনার আরো ভাল করিয়া বুঝিবেন । এই মহৎ হইতে সমষ্টি অহংতত্ত্বের উৎপত্তি আর এই উভয়টই ভৌতিক। ভূত ও মনে পরিমাণগত ভেদ ব্যতীত অন্য কোনরূপ ভেদ নাই—একই বস্তুর সূক্ষম ও স্থলাবস্থা, একটী আর একটতে পরিণত হইতেছে। ইহার সহিত আধুনিক শারীরবিধানশাস্ত্রের সিন্ধান্তের ঐক্য আছে আর মস্তিষ্ক হইতে পৃথক একটা মন আছে, ইহা এবং এতদ্বিধ সমুদয় অসম্ভব বিষয়ে বিশ্বাস করিলে যেরূপ বিজ্ঞানশাস্ত্রের সহিত বিরোধ ও দ্বন্দ্ব উপস্থিত হয়, তাহা হইতে এই বিশ্বাসে ঐ বিরোধ হইতে রক্ষা পাইবেন । মহৎ নামক এই পদার্থ,অহংতৰ নামক, জড় পদার্থের সূক্ষ্যবস্থাবিশেষে পরিণত হয় এবং সেই অহংতত্ত্বের আবার দুই প্রকার পরিণাম হয়। তন্মধ্যে এক প্রকার পরিণাম—ইন্দ্রিয় । ইন্দ্রিয় দুই প্রকার—কৰ্ম্মেন্দ্রিয় ও জ্ঞানেন্দ্রিয়। কিন্তু ইন্দ্রিয় বলিতে এই পরিদৃশ্যমান চক্ষুকৰ্ণাদি বুঝাইতেছে না, ইন্দ্রিয় এইগুলি হইতে সূক্ষমতর—যাহাকে আপনার। মস্তিক্ষকেন্দ্র ও স্বায়ুকেন্দ্র বলেন । এই অহংতত্ত্ব পরিণাম প্রাপ্ত হয় আর এই অহংতত্ত্বরূপ উপাদান হইতে এই কেন্দ্র ও স্বায়ু সকল উৎপন্ন হয়। অহংতত্ত্বরূপ সেই একই উপাদান হইতে আর এক প্রকার সূক্ষম পদার্থের উৎপত্তি হয়—তন্মাত্রা অর্থাৎ সূক্ষ ভৌতিক পরমাণু যাহা আপনাদের নাসিকার সংস্পর্শে আসিয়া আপনাদিগকে গ্রাণে সমর্থ করে, তাছাই তন্মাত্রার একটা দৃষ্টান্ত। আপনার এই সূক্ষ তন্মাত্রাগুলিকে