পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় । Ꮼ☾ আসে যে, আমার কোন অভাব নাই ) এই তিনটী তত্ত্বে আমাদের জীবনের কেন্দ্রগত ভাব, আমাদের জীবনের মহান ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত, আর ঐ কেন্দ্র বা ভিত্তি সীমাবিশিষ্ট হইয়। অপরবস্তুসংযোগে যৌগিক ভাব ধারণ করিলে আমরা উহাকে সুখ বা দুঃখ নামে অভিহিত করিয়া থাকি। এই তিনটী তত্ত্বই ব্যবহারিক সত্তা, ব্যবহারিক জ্ঞান ও ব্যবহারিক আনন্দ বা প্রেমরূপে প্রকাশিত হইতেছে। প্রত্যেক ব্যক্তিরই অস্তিত্ব আছে, প্রত্যেককেই জানিতে হইবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তিই আনন্দের জন্য হইয়াছে । ইহা অতিক্রম করিবার সাধ্য তাহার নাই । সমগ্র জগতেই এইরূপ । পশুগণ ও উদ্ভিদগণ, অতি নিম্নতম হইতে অতি উচ্চতম সত্তা পৰ্য্যন্ত সকলেই ভালবাসিয়া থাকে । আপনারা উহাকে ভালবাসা না বলিতে পারেন, কিন্তু তাহারা অবশ্যই সকলে জগুতে থাকিলে, সকলকেই জানিতে হইবে, সকলকেই ভালবাসিতে হইবে । অতএব এই যে সত্ত। আমরা জানিতেছি, তাহ পূর্বোক্ত ‘ক’ ও মনের ংযোগফল আর আমাদের জ্ঞানও সেই ভিতরের ‘খ’ ও মনের সংযোগফল আর প্রেমও ঐ ‘খ’ ও মনের সংযোগফল । অতএব এই যে তিনটী বস্তু বা তত্ত্ব ভিতর হইতে আসিয়া বাহিরের বস্তুর সহিত মিশ্রিত হইয়া ব্যবহারিক সত্তা, ব্যবহারিক জ্ঞান ও ব্যবহারিক প্রেমের স্বষ্টি করিতেছে, তাহাদিগকেই বৈদান্তিকেরা নিরপেক্ষ বা পারমার্থিক সত্তা, পারমার্থিক জ্ঞান ও পারমার্থিক আনন্দ বলিয়া वांरकन । 為 সেই পারমার্থিক সত্তা, যাহা অসীম, অমিশ্র, অযৌগিক, যাহার 6t