○○ ধৰ্ম্মবিজ্ঞান । SSASAS A SAS SSAS কোন পরিণাম নাই, তাহাই সেই মুক্ত আত্মা, আর যখন সেই প্রকৃত সত্তা প্রাকৃতিক বস্তুর সহিত মিশ্রিত হইয়া যেন মলিন হইয়া যায়, তাহাকেই আমরা ই মানব নামে অভিহিত করি। উহা সীমাবদ্ধ হইয়া উদ্ভিদজীবন, পশুজীবন, মানবজীবন রূপে প্রকাশিত হয়। যেমন অনন্ত দেশ এই গৃহের দেয়াল বা অন্য কোনরূপ বেষ্টনের দ্বারা আপাততঃ সীমাবদ্ধ বোধ হয়। সেই পারমার্থিক জ্ঞান বলিতে যে জ্ঞানের বিষয় আমরা জানি, তাহাকে বুঝায় না— বুদ্ধি বা বিচারশক্তি বা সহজাত জ্ঞান কিছুই বুঝায় না, উহা সেই বস্তুকে বুঝায়, যাহা বিভিন্নাকারে প্রকাশিত হইলে আমরা এই সকল বিভিন্ন নামে অভিহিত করিয়া থাকি । যখন সেই নিরপেক্ষ বা পূর্ণজ্ঞান সীমাবদ্ধ হয়, তখন আমরা উহাকে দিব্য বা প্রাতিভ জ্ঞান বলি-মখন আরো অধিক সীমাবদ্ধ হয়, তখন উহাকে যুক্তিবিচার, সহজাত জ্ঞান ইত্যাদি নাম দিয়া থাকি । সেই নিরপেক্ষ জ্ঞানকে বিজ্ঞান বলে। উহাকে সৰ্ব্বজ্ঞতা বলিলেও উহার ভাব অনেকটা প্রকাশ হইতে পারে। উহা কোন প্রকার যৌগিক পদার্থ নহে। উহা আত্মার স্বভাব । যখন সেই নিরপেক্ষ প্রেম সীমাবদ্ধ ভাব ধারণ করে, তখনই উহাকে আমরা প্রেম বলি—যাহা স্থূলশরীর, সূক্ষমশরীর বা ভাবসমূহের প্রতি আকর্ষণস্বরূপ । এইগুলি সেই আনন্দের বিকৃত প্রকাশ মাত্র আর ঐ আনন্দ আত্মার গুণবিশেষ নহে, উহা আত্মার স্বরূপ—উহার আভ্যন্তরিক প্রকৃতি । নিরপেক্ষ সত্তা, নিরপেক্ষ জ্ঞান ও নিরপেক্ষ আনন্দ আত্মার গুণ নহে, উহারা আত্মার স্বরূপ, উহাদের সহিত আত্মার
পাতা:ধর্ম্মবিজ্ঞান - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৭৪
অবয়ব