পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શજી ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ሕጓ প্রগাঢ়-ভয় মেঘমালা বেরূপ স্বৰ্য্যালোক-প্রকাশের বাধক, অতি তরল ক্ষীণতম-বাম্পরাশি সেইরূপ নহে। সেই প্রকার ইক্রিয়ুশক্তির অত্যন্ত প্রৰলণ্ড বা প্রগাঢ়তাবস্থায় অতিমাত্র-ইক্রিয়াত্মজ্ঞান হইয়া থাকে। কুারণ এ অবস্থা অামা ইঞ্জিয়ের দ্বারা অধিক পরিমাণে আচ্ছন্ন থাকেন। ইক্রিয়ুশক্তির অত্যন্ত 'ক্ষীণতাবস্থায় স্বল্পইত্রিয়াত্মজ্ঞান হয়। কারণ এ অবস্থায় আত্মা পূৰ্ব্বাপেক্ষায় অনেক অল্পসমাচ্ছন্ন থাকেন। এতদুভয়ের মধ্যমাবস্থায় মধ্যম ইক্রিয়াত্মজ্ঞান হইয়া থাকে। এইরূপ মন, অভিমান, ও বুদ্ধির প্রবল বেগাবস্থায়, ফ্রেমে অতিমাত্রমানসাত্মজ্ঞানাদি হইয়া থাকে, এবং উহাদের অত্যঙ্গ বেগাবস্থায় স্বল্পমানসাস্ত্রজ্ঞানাদি হয়, আর এতদুভয়ের মৃধ্যমাবস্থায় মধ্যমমানসাত্মজ্ঞানাদি বলা যাইতে পারে । প্রকৃতির ক্রিয়া বিশেষ না থাকিলে ও কথঞ্চিৎ এই ভেদ করা সম্ভবপর হয়। আত্মজ্ঞানের বিভাগ ও বিবরণ শুনিলে, এখন র্যাহার নিমিত্ত সমস্ত আর্যগণ সৰ্ব্বদাই ব্যাকুলিত ছিলেন, এবং “ সৰ্ব্বে বেদ। যৎপদ– মামনস্তি, তপাংসি সৰ্ব্বাণিচ যদ্বদস্তি। ষদিচ্ছস্তে ব্ৰহ্মচৰ্য্যঞ্চরস্তি” ( কঠ ) “সমস্ত বেদ যাহাকে একবাক্যে প্রতিপাদন করিতেছেন, যাহাকে প্রাপ্ত হওয়ার নিমিত্ত সমস্ত তপস্ত আচরিত হয়, যাহাকে প্রাপ্তৗচ্ছ হইয়া ঋষিগণ কষ্ট্রোরব্রহ্মচর্য্যের অনুষ্ঠান করেন, সেই আয়ারলাভের মুখ্যতম উপায় স্বরূপ এই আত্মজ্ঞানরূপ পরমগোপ্য পরমপূজ্য ধৰ্ম্মটি কি প্রকারে নিরোধশক্তি হইতে সমুৎপন্ন হয়, তাহ বলিতেছি, অবহিত চিত্তে শ্রবণ কর । আত্মজ্ঞানের বিকাশ । গুরুদেব ভগবানূ পতঞ্জলি মহর্ষি বলিয়াছেন "ধোগশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ” ( পাতঞ্জল দর্শন ১ পাঙ্ক ২ স্বত্র । চিত্তের ( ক ) দুইপ্রকার নিরোধ সম্ভবে ; এক, বৃত্তি-নিরোধ' (৬৬পৃ) ২য়,-“স্বরূপ-নিরোধ” (৬৬পৃ) ; ষে অবস্থা বিশেষে এই দুই প্রকার নিরোধের কোন না কোপ্ত একটি নিরোধ হয় সেই অবস্থা বিশেষের নাম “যোগ’ । এতদুভয় প্রকার নিরোধের கட (ক) এখানে চিত্তশক্ষে মন, প্ৰভিমান, বুদ্ধি প্রভৃতি বুধিতে হইবে।