পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{q} ধর্শ্বব্যাখ্য' । , Уна? তোমার চৈতন্য, ও তোমার, শক্তি খে, দেং হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন তাছা বিলক্ষণরূপে অনুভব করিতে পারিলে এবং ইক্রিয়গুলির যখন কোন প্রকান্ত বৃত্তিই থাকিল না, তখন উহার কেবল নিজনিজের স্বরূপেই থাকিল, ষে কৰ্দমের সহিত মাখাইয়া জলের নিজস্বরূপ দেখা যায নাই, সেই-কৰ্দম গেল, জলের নিজস্বরূপ প্রকাশিত হইল, ইক্রিয়ও প্রাণাদিব প্রকৃত মূর্তিটি কি তাহা তুমি তখন দেখিতে পাইলে এবং দেহের উপর তোমার আমিত্বটি ছুটিয়া গেল, তখন কেবল ইন্দ্রিয় ও প্রাণ সমষ্টিকেই আমি বলিয়া अन्नुफद করিত্বে পারিলে ; ক{কবিশ্নধসর্গ যেমন, কফুকের মধ্যে থাকিয়াও কষ্ণুকের গুণের দ্বারা অভিভূত হয় না, সেইরূপ তুমিও দেহেরমধ্যে থাকিয়াই দেহের গুণের দ্বারা অভিভূত থাকিলে না; তখন কেবল ইঞ্জিয়ের সহিতই তোমার চৈতন্সের বিমিশ্রণ থাকিল এবং বৃত্তিশূন্ত-ইঞ্জিয়ের সহিতই বিমিশ্রণ হইয়া, তোমার চৈতন্তের অনুভব হইতে লাগিল, “নিৰ্ব্বত্তিক ইক্রিয়-প্রাণাত্মজ্ঞান হইল (১১ পৃ ) । এই বৃত্তি-নিরোধ যখন তীব্রমাত্রায় হয় তখন, দেহের সম্বন্ধ পূর্ণ মাত্রায় বিশ্লথ হইয়া পড়ে, দেহাত্মজ্ঞান একবারে নিবৃত্ত হয়, সুস্পষ্ট “অতিমাত্রইপ্রিয়াস্তুস্তান’ (১৩ পৃ) হয়। আর যখন অতিমূহ মাত্রায় বৃত্তি নিরোধ হয়, তখন অভ্যঙ্গমাত্রায় দেহের সম্বন্ধ বিশ্লথ হয়, দেহাত্মজ্ঞানেরও অল্পমাত্র হ্রাস হয় এবং ইক্রিয়াত্মজ্ঞানের ও অল্পমাত্রায়ই পরিস্ফুরণ হইয়া থাকে। আর ইহার মধ্যম রূপের বৃত্তি-নিরোধ হইলে সমস্তই মধ্যম মাত্রায় श्रेरक। শিষ্য । ইক্তিয়ের বৃত্তি নিরোধ কালে, ইন্ত্রির শক্তিগুলি স্কুল-দেহ হইতে একটু বিযুক্ত হয়, তাহা বুঝিলাম, কিন্তু সেই জন্য, দেহাত্মজ্ঞান নিবৃত্ত হইবে কেন, তাহা বুঝিলাম না । চৈতন্য স্বরূপ আত্মা যখন পরিব্যাপ্ত পদার্থ এবং তাহার পরিব্যাপ্তি ও সাৰ্ব্বকালিক-সৰ্ব্বদা একই প্রকার থাকে-কমি বেশী হয় না, তখন ইন্দ্ৰিয শক্তি আকুঞ্চিত হইলেও চৈতন্য-স্বরূপ আত্মা আকুঞ্চিত হইলেন না, তাহার সহিত দেহের মাখামাখি সম্বন্ধ পূর্বের মতই থাকিল, তবে দেহাত্মজ্ঞান নিবৃত্ত হইয়া, ইশ্রিয়া জ্ঞান হইৰে কেন -গৃহের মধ্য হইতে মনুষ্যটি বহির্গত বা পৃথগ ভূত