পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । [ छिउँौन्न . طه ج বিমিশ্রণেই সেই আত্মার অনুভব হইতে থাকিবে ; “বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞান” হইবে। (৮৩ পৃ ) এতদবস্থায় দেহ, ইলিয়াবস্থা, প্রাণাবস্থা, মানসাবস্থা ও অভিমানাবস্থা পরিত্যাগপূর্বক মস্তিষ্কে অভ্যন্তরেই তোমার অতি স্থম্ম ‘আমিটি’ বিরাজ করিবে। ইহা অতিমাত্র বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞান জানিবে (১৩ পৃ ) । এই অবস্থায় পুৰ্ব্বাপেক্ষা সহস্র গুণ আনন্দের উপভোগ হয়। বুদ্ধি নিরোধের দ্বার বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞানের নিবৃত্তি ও প্রকৃত্যায়জ্ঞানের উৎপত্তি । বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞানে আস্থার শক্তি কেবল ক্ষরিতমাত্র হইয়া, মস্তিষ্কের গুহাপ্রদেশেই পরিব্যাপ্ত থাকে, এখন এই ফুরণের মৃদুমাত্র নিরোধে (৮২ পৃ) ‘মধ্যম বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞান” হইবে, (১৩%) এবং ‘মধ্যমমাত্রার নিরোধে(৮২পু) অত্যস্কুট বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞান অর্থাং "স্বপ্নমাত্র বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞান” হইবে, (১৩%)পরে যখন উহার ক্ষুদ্রণ হইতেও একবারে নিবৃত্তি অর্থাৎ "তীব্র বুদ্ধিনিরোধ' (৮২% ) হইবে । তখন বুদ্ধির উৎপত্তি হইল না, সুতরাং বুদ্ধ্যায়ুজ্ঞানের বিনাশ ইহল । কিন্তু সেই সমস্ত শক্তির পরম স্থঙ্ক অবস্থাস্বরূপ প্রকৃতির অস্তিত্ব থাকিল এবং তাহার অতি স্বক্ষ ক্ষুদ্রণ (বৃত্তি হইতে থাকিলহতরাং সেই বৃত্তি, আর প্রকৃতি আর আত্মা, এই তিনের বিমিশ্রণে অতি স্বক্ষ এক রূপ অনুভব হইতে লাগিল। পরে আবার সেই বৃত্তিটরও নিরোধ করিলে কেবল নিৰ্ব্বত্তিক প্রকৃতিমাত্র থাকিল, তখন প্রকৃতির নিজ অবস্থা আর প্রকৃতির সহিত বিমিশ্ৰিত চৈতন্যের অতি সূক্ষ্মতম অনুভব হইতে লাগিল। এই অবস্থায় দেহ ইন্দ্রিয়াদি সমস্ত অবস্থা পরিত্যাগ পূর্বক অতুল আনন্দ অনুভব করত কেই দুলক্ষ্য গুহাতে তোমার ‘ আমি অবস্থিতি করিবে । ইহা “ অতিমাত্র প্রকৃত্যা মুজ্ঞান” । - প্রকৃতি নিরোধে পরমাত্মার প্রকৃতস্বৰূপে বিকাশ । অবশেষে যখন প্রকৃতিরওঁ মৃদু, মধ্যম ও অতিমাত্র নিরোধের দ্বারা এককালে পরিস্ফুরণ না থাকিবে তখন, যে গুহা হইতে মেঘস্বরূপ শক্তি বিকীর্ণ হইয়া অলৌকিক প্রকাশস্বরূপ পরমাত্মা মাৰ্ত্তণ্ডকে আবরণ করিয়া