পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શજી ] ধৰ্ম্মৰ্যাখ্যা । ున ছিল সে সেই অনন্ত প্রকৃতিতে মিশিয়া গেল ; তখন কোন শক্তি নাই, ধ্যান নাই, জ্ঞান নাই, চিস্তা নাই, তখন সমস্ত এককালীন নিস্তব্ধ, সমস্ত নীরব, তখন তুমি নাই, বুদ্ধি নই, অভিমান নাই, মন নাই, ইলিয় নাই, প্রাণ নাই, তখন কেবলই চৈতন্য, কেবলই আত্মা, কেবলই আনন্দ, কেবলই প্রকাশ । ইহারই নাম "প্র কুত-আন্ধু জ্ঞান", ইহা হইলেই জীবের কৰ্ত্তব্যকাৰ্য্য সংসাধিত হইল, জীব স ধনুঃখ হইতে বিমুক্ত হইল, ভববন্ধন খুলিয়া গেল । এইরূপে স নিরোধের দ্বারা পরমাত্মার প্রকাশ বা প্রকৃত আত্মজ্ঞান সাধিত হইয়া থাকে। এখন ঔদাসীন্য-নামক মগধ টি কি প্রকারে বিকাশ প্রাপ্ত হয় তাহা শ্রবণ ಔ | ঔদাসীন্য ধৰ্ম্মের বিবরণ । ঔদাসীন্য নামক ধর্মের কিশ কি প্রকারে হয় তাহা বুঝিবার পূৰ্ব্বে, ঔদাসীন্য কাহাকে বলে তদ্বিযয় এবং তাহার বিশেষ বিবরণ জানা নিতান্ত আবশ্বক ; অতএব প্রথমে ঔদাসীন্যের লক্ষণ ও তদীয় বিবরণ বলিতেছি । আমরা, যে সৰ্ব্বদা অন্তরে অন্তরে “ আমি-অহম্” বলিয়া আমাদের নিজের অনুভব করিয়া থাকি, তাহ, আমাদের স্থূলদেহ এবং ইন্ডিয়, প্রাণ, মন প্রভৃতি সমস্ত জড়পদার্থ, আর, অঙ্গার-সংযুক্ততাপের ন্যায়, ইহাদের সহিত অভিন্নভাবে বিমিশ্ৰিত চৈতন্য • পদার্থ, এই দুইকে লইয়াই হয়, ইহা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি ; সুতরাং ঐ জড়শক্তি আর চৈতন্য এই চুটী পদার্থ মিশাইয়াই আমরা একটি “আমি” হইতেছি ; কিন্তু তথাপি চৈতন্যই এই “আমি” জ্ঞানের মুখ্যতম বিষয়, মুখ্যতম অালম্বন, অর্থাৎ চৈতন্য পদার্থটিকেই মুখ্যরূপে নির্ভর করিয়া আমাদের অভ্যন্তরে ঐ “ আমিত্বের" অনুভবটি হয়, এবং দেহেন্দ্রিয়াদি জড় পদার্থ গুলি, বস্ত্রের শ্বেত-পীড়াদি বর্ণের ন্যায়, তাহার সঙ্গে-সঙ্গে অনুভূত হয়। আকাশ দেখিব বলিয়া উন্মুখ হইলে, অভ্র বায়ু পরিপূর্ণ আকাশই দৃষ্ট হইলেও, কেবল মাত্র আকাশই যেমন মুখ্যতম লক্ষ্য হইয়া থাকে, অথবা বহুতর সৈন্য-সামন্তসমভিব্যাহারে কোন রাজার গমন করা কালে, যেমন সমস্তগুলি লোকই দর্শকগণের নয়নুগোচর হইলেও, রাজাই তাহদের মুখ্যতম লক্ষ্য হইয়া