পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શ જી ...] ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । >>\う কোন নক্ষত্র বা চন্দ্র প্রভৃতি কোন প্রকারজ্যোতিৰ্ধ্যক্ত পদার্থই প্রকাশিত না থাকে, তবে, ইন্দ্রিয়াদি সমস্তশক্তি বিদ্যমান থাকিতেও,তুমি কোন কাৰ্য্যই করিতে পার না । কিন্তু যখন অনন্ততেলে-ভাণ্ডার স্বৰ্য্যদেব প্রকাশিত হইয়া সকল বস্তুকে প্রকাশিত করেন, তখনই লোক দেখিয়া শুনিয়া কাৰ্য্য করিতে সক্ষম হয়। কিন্তু স্বৰ্য্য কেবল বস্তু সমূহের প্রকাশ মাত্রই করিতেছেন, তদ্ব্যতীত, তিনি নিজহস্তে কাহাকেও কিছু করাইয়া দিতেছেন না; সেইরূপ, চৈতন্তের দ্বারা কেবল তোমার অন্ধকারাচ্ছন্ন জড়ু শক্তি গুলি প্রকাশিত মাত্রই হয়। প্রকাশ হইলেই তোমার বুদ্ধি প্রভৃতি জড় শক্তিগুলি আপনারাই কাৰ্য্য করিতে পারে, এ নিমিত্ত রাজার ন্যায়, চৈতন্যই তোমার জড়শক্তির স্বামী, এবং তোমার মুখ্যতম “আমি”, অথচ ই হার কোনই ক্রিয়া নাই। দার্শনিকগণও একবাক্যে এই মতের সমর্থন করেন,--“নিগুণন্ত তদসস্তবাদহস্কার ধৰ্ম্মাহোঁতে ’’ ( সাঙ্খ্য ) “ চৈতন্য স্বরূপ আত্মা নিগুণ ও নিৰ্দ্ধৰ্ম্ম পদার্থ, তাহাতে কোন গুণ বা কোন ক্রিয়ানাই। অতএব তোমার সুখ দুঃখ, ইচ্ছা ক্রিয়া, অদৃষ্ট প্রভৃতি যাহা কিছু আছে, তৎসমস্তই তোমার জড়শক্তির ধৰ্ম্ম।” কিন্তু হইলে কি হয়, তোমার জড়শক্তি আর ঐ চৈতন্য এতদুভয়ের এরূপ অলৌকিক গুরুতর সংযোগ আছে যে, তদ্বারা যেন চৈতন্য স্বরূপ আত্মা আর ঐ বুদ্ধি প্রভৃতি জড়শক্তি গুলি এক হইয়া গিয়াছে, জলন্ত অঙ্গার ও তদীয় তাপ যেমন এক হইয়া যায়, চৈতন্য আর মন প্রভৃতি জড়বস্তুগুলিও, তেমন ভিন্নকরা অতি কষ্টকর। এজন্য,“তস্মাং তৎসংযোগ দচেতনং চেতনাবদিব লিঙ্গমৃ। গুণ কর্তৃত্বেপিতথা কৰ্ত্তেব ভবভু্যদাসীনঃ” (সাত্ম্য কারিকা) “মন প্রভৃতি জড়পদার্থগুলি বাস্তবিক অচেতন পদার্থ হইয়াও, সেই চৈতন্য পদার্থের সংযোগে চেতনপদার্থের ন্যায় প্রতিভা পাইতেছে, আবার মন প্রভৃতি শক্তিই, বাস্তবিক পক্ষে, সকল প্রকার কার্য্যের কৰ্ত্তা এবং চৈতন্য একবারে অকৰ্ত্তী হইলেও, সেই কৰ্ত্তা-জড়শক্তির সংযোগে উদাসীন পরমাত্মাও দেহের কর্তা বলিয়া প্রতিভাত হইতেছেন। ‘ অহঙ্কারবিমুঢ়াত্মা কৰ্ত্তাহ মিতিমনাতে' (গীতা) এইরূপে জড়শক্তি আর চৈতন্য এতদুভয়ের গুণ পরস্পর উভয়েতে আরোপিত হয়। স্কুভাব-শীতল লৌহপিণ্ড যেমন অত্যন্ত উত্তাপের সহিত