পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} >8 ধৰ্ম্মব্যাখj! { দ্বিতীয় ংযুক্ত হইলে তাপ আর লৌহ এক হইয়া গিয়া লৌহের গুণ তাপে, এবং তাপের গুণ লৌহে আরোপিত হয়, অর্থাৎ সেই উত্তপ্ত লৌহপিণ্ডের স্পর্শে যখন কোন বস্ত দগ্ধ হইয়া যায়, তখন বলা হয় যে “লোহায় হাত পুড়িল”কিন্তু বাস্তবিক লোছায় কখনও কিছু পোড়ে না, পোড়ে তাপে, সুতরাং এখন তাপের গুণই লোহার আরোপ করা হইল। আবার যখন ঐ তপ্ত লৌহপিণ্ডকে বলা হয় যে, “অগ্নিটা বড় ভারী” তখন লৌহের গুণ তাপে আরোপ করা হয়। কারণ ভারত্ব লৌহের গুণ ; “তাপ কখনও হালকা বা ভারী হইতে পারে না। সেইরূপ আমরাও যখন আমাদের বুদ্ধি, মন প্রভৃতি জড়পদার্থগুলিকে “আমি” বলিয়া লক্ষ্য করিয়া মনে-মনে অনুভব করি যে, “আমি চেতন পদার্থ,” তখন চৈতন্যের ক্ষমতা, জড়পদার্থ-অন্তঃকরণাদিতে আরোপ করা হয় ; কারণ মন প্রভৃতি অন্তঃকরণের নিজের চৈতন্য নাই। আবার যখন সেই মুখ্য “আমি কে” লক্ষ্য করিয়া মনে করি যে, “আমি বিলক্ষণ চিন্তাশীল” ইত্যাদি, তখন জড়ের গুণ চৈতন্যে আরোপ করা হয়। কারণ আমাদের চিন্তাদি ক্ষমতা চৈতন্যের নহে—উহা মনের ক্ষমতা, তবে চৈতন্যের সহিত সংযোগ না থাকিলে মন অবশ্যই চিন্তা করিতে পারে না, কিন্তু তাই বলিয়া চিন্তা চৈতন্যের গুণ হয় না। স্বর্ঘ্যের আলোক না থাকিলে তুমি গমন করিতে পার না, বলিয়া গমন করা স্বৰ্য্যালোকের গুণ নহে, গমন করা অামারই দেহের গুণ বা ক্রিয়া। এইরূপে মুখ, দুঃখ, মোহ প্রভৃতি সমস্ত গুলি জড়গুণ তোমার সেই মুখ্য ‘আমি’ চৈতন্যে আরোপিত হইয়া, তুমি নানাপ্রকার দুঃখাদির দ্বারা পরিপীড়িত হইতেছ,“কৰ্ত্তাম্মাতি নিবধ্যতে” (শ্ৰুতি)। কিন্তু যদি কোন কৌশলে এই মিথ্যা আরোপট না হয়,তবে আর তোমার মুখ্য ‘আমি’র (চৈতন্য-স্বরূপ আত্মার, ) কোনরূপ দুঃখই থাকে না, তখন জড়ের গুণ জড়েই থাকে, দুঃখাদি কোন প্রকার জড় ধৰ্ম্মই তোমার প্রকৃত ‘আমি কে সংস্পর্শ করিতে পারে না, ইহা বাস্তবিক তত্ত্ব, বাস্তবিক সত্য । এই পরম সত্য মহামন্ত্র স্মরণ রাখিয়া যদি সমস্ত কার্য্যের কর্তৃত্ব হইতে নিজের আত্মাকে সম্পূর্ণ পৃথকৃভাবে রাখা যায়, তবে তাহারই নাম ঔদাসীন্য’ বা “উদাসীনতা” । উদাসীনতা থাকিলে কোন প্রকার জড়গুণই