পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । > ( আত্মাকে সংস্পর্শ করে না, সুতরাং আত্মার দুঃখাদি কিছুই থাকে না, সৰ্ব্বদাই অপরিমিত আনন্দ সমুদ্রে ভাসিতে থাকে। ঔদাসীন্য পদার্থটি কি বুঝিতে পারিলে, এখন তাহার বিভাগাদি শ্রবণ কর। ঔদাসীন্যের বিভাগ । উক্ত ঔদাসীন্য বা উদাসীনতা নামক মহাধৰ্ম্ম প্রথমে ছয় প্রকারে বিভক্ত। ১ম, “ দৈহিক 8नागौना", ২য়, “ ঐন্দ্রয়িক ও প্রাণিক ঔদাসীন্য", ৩য়, “মানসিক ঔদাসীন্য,” ৪র্থ, "আভিমানিক ঔদাসীন্ত” ৫ম, “ বৌদ্ধ ঔদাসীন্য’ এবং ৬ষ্ঠ, “প্রাকৃতিক ঔদাসীন্য ” । দেহের কৃত কাৰ্য্যের কর্তৃত্ব হইতে আত্মাকে পৃথক্ রাখার নাম “ দৈহিক ঔদাসীন্য” ; ইন্দ্রিয়গণ ও প্রাণাদির কৃত কাৰ্য্যের কর্তৃত্ব হইতে আত্মাকে পৃথক্ রাখার নাম “ঐন্দ্রিয়িক ও প্রাণিক ঔদাসীন্য" ; মানস কৃতকর্য্যের কর্তৃত্ব হইতে আত্মাকে পৃথক রাখার নাম ‘মানসিক ঔদাসীন্য ; অভিমানের কৃতকাৰ্য্যের কর্তৃত্ব হইতে আয়াকে পৃথক রাখার নাম ‘আভিমানিক ঔদাসীন্য ; বুদ্ধির কৃতকাৰ্য্যের কর্তৃত্ব হইতে ভাঞ্জাকে পৃথক রাখার নাম, ‘বৌদ্ধ ঔদাসীনা, এবং প্রকৃতির কৃতকাৰ্য্যের কর্তৃত্ব হইতে আস্থাকে পৃথক রাখার নাম প্রাকৃতঔদাসীন্য । এই হইল ছয় প্রকার ঔদুসনু্য, এখন ইহাদের প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন ফলও বলা যাইতেছে । & যখন ‘দৈহিক ঔদাসীন্যের বিকাশ হয়, তখন দৈহিকদুঃখাদি আত্মাকে স্পর্শ করিতে পারে না, এবং ‘ঐন্দ্রিয়িক ও প্রাণিকঔদাসীন্ত’ হইলে ঐন্দ্রিয়িক দুঃখাদিও সংস্পর্শ করে না। মানসিকঔদাসীন্য হইলে মানসিক দুঃখাদি আত্মাকে অভিভব করে না । ‘অভিমানিক ঔদাসীন্য হইলে আভিমানিক দুঃখাদি আত্মাকে সুখী দুঃখী করে না । ‘বৌদ্ধ ঔদাসীন্য হইলে, বুদ্ধির দুঃখাদি আত্মার কিছুই করে না এবং ‘প্রাকৃত ঔদাসীন্য হইলে প্রকৃতির দুঃখাদি ও আত্মাকে সংস্পর্শ করে না। উক্ত বড়িধ ঔদাসীন্যের প্রত্যেকটিই স্বল্প, মধ্যম ও অতিমাত্রভেদে তিন প্রকারে বিভক্ত হইতে পারে। যথা স্বল্প দৈহিক ঔদাসীন্য", মধ্যমদৈহিক ঔদাসীন্য ’ এবং তাতিমাত্র দৈহিক ঔদাসীন্য ; স্বল্প ঐন্দ্রিয়িক