পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ン > り ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । [ দ্বিতীয় ঔদাসীন্য,’ ‘মধ্যম ঐন্দ্রিয়িক ঔদাসীন্য, এবং অতি মাত্র ঐন্দ্রিয়িক ঔদাসীন্য ; ‘স্বল্প মানসিক ঔদাসীন্য, মধ্যম মানসিক ঔদাসীন্য, এবং“অতিমাত্র মানসিক ঔদাসীন্য ; এইরূপ অভিমানিক, বৌদ্ধ, ও প্রাকৃত ঔদাসীন্য সম্বন্ধেও বুঝিবে। দেহের কৃতকর্ষের কর্তৃত্ব হইতে, সম্পূর্ণরূপে আত্মাকে পৃথক্ রাখার নাম "অতিমাত্র দৈহিক ঔদাসীন্য এবং অত্যন্ত্র অক্ষ টমত পৃথক রাখা স্বল্প দৈহিক ঔদাসীন্য, আর ইহার মধ্যম অবস্থায় পৃথক্ রাখার নাম ‘মধ্যম দৈহিক ঔদাসীন্য' । .এই রূপ স্বল্প—ঐন্দ্রিয়িকঔদাসীন্যাদিও জানিবে। ঔদাসীন্তের স্বল্প, মধ্যম, ও অতিমাত্র মাত্রানুসারে দেহাদির দুঃখভোগের হ্রাসও স্বল্প, মধ্যম এবং অশুিমাত্র মাত্রায়ই জন্মিবে । অর্থাৎ স্বল্প দৈহিক ঔদাসীন্য হুইলে, দৈহিক মুখ দুঃখের স্পর্শও আত্মাতে স্বল্পমাত্রায়ই হ্রাস প্রাপ্ত হইবে, এবং অতিমাত্র দৈহিক ঔদাসীন্য হইলে দৈহিক সুখ দুঃখের অতিমাত্র ক্ষয়, আর এতদুভয়ের মধ্যম অবস্থার ঔদাসীন্য হইলে দৈহিক সুখ দুঃখেরও মধ্যমাবস্থায় হ্রাস হইবে ; এইরূপ ‘স্বল্প ঐন্দ্রিমিক ঔদাসীন্যাদিতে ও জানিবে। এই হইল ঔদাসীন্যের বিভাগ এবং ফল ; এখন ইহার উৎপত্তির নিয়ম বলা যাইতেছে,— আমাদিগের দেহান্নুজ্ঞানের নিবৃত্তি হইয়া যখন “ ইন্দ্রিয় প্রাণাত্ম জ্ঞান জন্মে, তখন দৈহিক ঔদাসীন্য ধৰ্ম্ম বিকাশিত হয়, এবং ইন্দ্রিয় প্রাণাত্মজ্ঞান নিবৃত্তি হইয়া যখন মানসাত্মজ্ঞান জন্মে, তখন “ ঐন্দ্রিয়িক ও প্রাণিক ঔদাসীন্য প্রকাশিত হয়। এই রূপ উপরিস্থ স্তরের এক একটিতে আত্মজ্ঞান হইলে, তাহার নিম্নস্থ স্তরে ঔদাসীন্য জন্মিয় থাকে। উৰ্দ্ধতন এক এক প্রকার আত্মজ্ঞানের সমকাল ব্যতীত কোন প্রকার ঔদাসীন্যই হইতে পারে না। যতক্ষণ এই স্থূলতম দেহটাকেই আত্মা বলিয়া অনুভব হইতে থাকে,—দেহের সহিত অভিন্নভাবে আত্মাকে উপলব্ধি করা হয়, ততক্ষণ জন্ম সহস্রেও দেহের কৃতকাৰ্য্যকে “আ স্ট্রার কার্য্য (আমার কার্য্য) নয়” বলিয়া ঐ কাৰ্য্যের কর্তৃত্ব হইতে আত্মাকে— পৃথক্ রাখিতে পারিবে না, সুতরাং দৈহিক ঔদাসীন্য হইবে না। কিন্তু দেহাত্মজ্ঞান নিবৃত্তি হইলে অন্যের দেহের ন্যায় এই দেহই নিজ হইতে ভিন্ন বলিয়া অনুভূত হয়, অতএব অন্যের কৃত কাৰ্য্যের কর্তৃত্ব যেমন