পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

સંજી ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ১১৭ আমাকে সংস্পর্শ করেন, তেমন এই দৈহিক কাৰ্য্যের কর্তৃত্বও আত্মাতে বৰ্ত্তিতে পারে না । o ঐন্দ্রিয়িক ও প্রাণিক উদাসীন্যাদি সম্বন্ধেও এই রূপই জানিবে, অর্থাৎ ইন্দ্রিয়াত্ম জ্ঞান থাকিতে, ঐন্দ্রিয়িক ঔদাসীন্য কদাচ হইতে পারে না, এবং মানসাত্ম জ্ঞান থাকিতে, কদাপি মানসিক ঔদাসীন্য প্রকাশিত হইবে না, অতএব আত্মজ্ঞানের ন্যায় ঔদাসীন্যও এক এক প্রকার নিরোধের কার্য্য ইহা অবধারিত হইল ; এখন এ বিষয় বিশেষ ক্ষণে বুঝান যাইতেছে শ্রবণ• কর । মনে কর, প্রথমে তোমার ইন্দ্রিয়বৃত্তিনিরোধ (৬৭পূ ) হইল, তখন পূৰ্ব্বোক্ত রীত্যনুসারে (৯৫%) তোমার দেহাত্মজ্ঞান নিবৃত্তি হইয়া ইন্দ্রিয়ায়ুজান হইতে লাগিল। এ অবস্থায় দেহকেই যখন তুমি আত্মা বলিয়া বুঝিতেছ না, তখন তোমার নিজের দেহই, রামদাস শ্যামদাসের দেহের ন্যায় বিভিন্ন হইয়া থাকিল । সুতরাং রামদাসের কৃত কাৰ্য্যে, যেরূপ তোমার কেন কর্তৃত্ব থাকে না, সেইরূপ তোমার নিজ দেহের কৃতকাৰ্য্যেই তোমার আত্মার কর্তৃত্ব বোধ থাকিবে না, সুতরাং দৈহিক ঔদাসীন্য হইল । এইরূপে ইন্দ্ৰিয়নিরোধের দ্বারা ইন্দ্রিয়াত্মজ্ঞান নিবৃত্তি হইয়া, এক সময়ই মানসাত্মজ্ঞান ও ঐন্দ্রিয়িক ঔদাসীন্য হইবে, তৎপর মুনিস নিরোধের দ্বারা মানসাত্মজ্ঞান নিবৃত্তি হইয়া, অভিমানাত্মজ্ঞানের সঙ্গেই মানসিক ঔদাসীন্য হইবে, এবং অভিমান নিরোধের দ্বারা অভিমানাত্মজ্ঞাননিবৃত্তি পূৰ্ব্বক বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞানের সঙ্গেই অভিমানিক ঔদাসীন্য হুইবে, পরে বুদ্ধিনিরোধের দ্বারা বুদ্ধ্যাত্মজ্ঞান নিবৃত্তিপূৰ্ব্বক, প্রকৃত্যাহ্বজ্ঞানের সঙ্গেই বৌদ্ধ ঔদাসীন্য হইবে, পরে প্রকৃতিনিরোধের দ্বারা প্রকৃত্যাত্মজ্ঞাননিবৃত্তিপূৰ্ব্বক যথার্থ আত্মজ্ঞানোৎপত্তির সঙ্গেই প্রাকৃত ঔদাসীন্য হইবে। এইরূপে নিরোধশক্তি হইতে ঔদাসীন্য মহাধৰ্ম্মের বিকাশ হয়। শিষ্য। আত্মজ্ঞান ও ঔদাসীন্য নামক মহাধৰ্ম্ম দুটির এ পর্য্যস্ত যে কিছু বলিলেন, তাহাতে বুঝিলাম যে, চরম আত্মজ্ঞান ও চরম ঔদাসীন্য রূপ ধৰ্ম্মোপার্জন করিতে হইলে, আত্মার সকল প্রকার ক্রিয়া বা বৃত্তিকে এককালীন অবরুদ্ধ করিতে হয়, নতুবা উচ্চতম আত্মজ্ঞান, ও উচ্চতম