পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ छिउँौत्र לליכי ঔদাসীন্য হইতে পারে না। কিন্তু যদি শরীরের মধ্যে কোন প্রকার ক্রিয়াই আদৌ না হয় তাহা হইলে, হয় মৃত্যু, না হয়, মহা মুচ্ছৰ্ণ হইবে, তাহ। নিশ্চিত ? কারণ শরীরের ক্রিয়াই জীবন বা চেতনাবস্থার লক্ষণ ; তবে কি আপনার এই সিদ্ধান্ত হইল যে, ধৰ্ম্ম সঞ্চয় করিতে হইলে, মৃত্যু কিম্বা অচৈতন্য হওয়া আবশ্যক ? জীবিত বা চেতন থাকিয়া আত্মজ্ঞানাদি হওয়া . কদাপি সম্ভবে না কি ? * আচাৰ্য্য —উচ্চতম আত্মজ্ঞান ও উচ্চতম ঔদাসীন্য-ধৰ্ম্ম সাধনের প্রথম অবস্থায়, যতক্ষণ পৰ্য্যস্ত আত্মজ্ঞান ও ঔদাসীন্যাদি থাকে ততক্ষণ, মৃত্যু অবশুই হয় না বটে, কিন্তু মহামুচ্ছৰ্ণর ন্যায় অচেতন অবস্থা নিশ্চয়ই হয়, তাহা সত্য ; এবং ধ্যানভঙ্গ হইয়া, চেতন হইলেই আবার সেই আত্মজ্ঞান ও ঔদাসীন্য তিরোহিত হয়, তাহীও সত্য। পরস্তু ক্রমাগত এই অনুষ্ঠান করিতে করিতে, অভ্যাসের পরিপক্কতাবস্থায় অবশেষে এক সময়েই শরীরের ক্রিয়া ও আত্মজ্ঞানাদি ধৰ্ম্ম প্রকাশিত হইয়া থাকে। ইহাই শাস্ত্র বলিয়াছেন, “স যদন্ত্র কিঞ্চিৎপশ্যতি অনস্বাগত স্তেন ভবতি স সমানঃ সন্ধুভেী লোকবিনুসঞ্চরতি ধ্যায়তাব লেলায়তীৰ”— ( শ্রীতি ) “আত্মতত্ত্ব সাক্ষাং, কারের অভ্যাস পরিপাট্য দ্বারা, অবশেষে আত্মা একই সময়ে সেই আনন্দময় লোক এবং বাহজগং, এতদুভয়লোকে বিচরণ করিয়া থাকেন, আত্মা একদাই যেন ধ্যান নিমগ্ন এবং বিষয়ব্যাপারে ব্যাপৃত বলিয়া লক্ষিত হয়েন ; এ অবস্থায় তিনি যে সকল কাৰ্য্য করেন, তাহাতে কিছুমাত্র আসক্ত হয়েন না।” ইহার তাৎপৰ্য্য এই—কাৰ্য্যোংপত্তির পূৰ্ব্বেই সেই কাৰ্য্যের কারণটি থাকা আবশুক, কিন্তু কাৰ্য্যনিম্পত্তির পরে, কারণ না থাকিলেও কোন অনিষ্ট হইতে পারে না; ইহাই কাৰ্য্য ও কারণের নিয়ম। শস্যের উৎপত্তির পূর্কেই ক্ষেত্র থাকা নিতান্ত আবশ্যক হয়, কিন্তু শস্য পঙ্ক হইলে, তাহা কৰ্ত্তন করিয়া নিলে, তখন আর সেই ক্ষেত্রে পুষ্করিণী হইলেও কোনই হানি হয় মা । এবং সস্তান উৎপত্তির পূৰ্ব্বেই পিতামাতার থাকা চাই, কিন্তু আপন শরীর হইতে সস্তান প্রসর করিবার পরে, মাতা বিনষ্ট হইলেও সস্তান বিদ্যমান থাকিবে। সেইরূপ, ধৰ্ম্মবিকাশ ও ধৰ্ম্মোন্নতির পূৰ্ব্বে, আয়ার অধঃস্রোত