পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શ્રેજી ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । - > >సి স্বিনী গতির নিরোধ করা চাই, কিন্তু ধৰ্ম্মের পরিপক্কতা হইলে, তখন নিরোধ না থাকিলেও ধৰ্ম্মনাশের কোন আশঙ্কা নাই। নিরোধশক্তির ক্রমিক অভ্যাস দ্বারা প্রবল সত্ত্বগুণ-সমুদ্ভূক্ত আত্মজ্ঞানের শক্তি, আত্মজ্ঞান ও ঔদাসীন্যাদিধর্মগুলি ক্রমাগত পূর্ণভাবে বিকসিত হইতে হইতে মনের মধ্যে উহার সংস্কাররাশি ( ১৩%-২প: ) সঞ্চিত হইতে থাকে, সঞ্চিত হইয়া যখন সেই সংস্কার গুলি অতিশয় প্রবল হইয়া উঠে, তখন ঐ সংস্কার বলে, আপনাআপনিই ঐ সকল ধৰ্ম্মপ্রবৃক্তিগুলি ক্ষরিত হইতে থাকে। সুতরাং তখন সেই পূৰ্ব্বকার নিরোধ শক্তি না থাকিলেঔ সঞ্চিতধৰ্ম্মের বিনাশ হইবে কেন ? তাহা কদাচ সম্ভবপর নহে।. এবং ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তির বিরোধী বিষয়ানুরাগ বা দেহাভিমান প্রভৃতি কোন অপকারক বৃত্তিও তখন হইতে পারে না, অথচ বিলক্ষণ রূপ চেতন থাকিয়া, সমস্ত বিষয়কাৰ্য্য করা যায়। ইহা কিরূপ তাহ শুন;—মনেকর, তুমি যেন সমাধি করিয়া সহস্রবার পরমাত্মার উপলব্ধি করিয়াছ—সহস্রবার বুঝিতে পারিয়াছ যে, পরমাত্মা সাক্ষাৎ বিশুদ্ধ চৈতন্যস্বরূপ, তিনি তোমার দেহাদি হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন এবং নিতান্ত নিগুৰ্ণ ও নিধৰ্ম্ম পদার্থ। এবং যখন ঐ রূপ আত্মজ্ঞান হইয়াছে, তখন অবশুই তোমায় কোন আন্তরিক চিন্তা, অনুভূতি বা বাহজ্ঞানাদি কিছুই ছিল না, এবং পরে তুমি যখন চেতন হইয়া উঠিলে তখন তোমার বাহ্যজ্ঞান হইল। কিন্তু এখন বাহ্যজ্ঞান হুইলেও সেই সমাধি অবস্থায় তুমি যে সকল পরমসত্য অনুভব করিয়াছ, তাহার প্রগাঢ় সংস্কার সেই সত্যগুলি অবশ্যই তোমার মনে পড়িবে, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। মুতরাং সেই পরমসত্য আত্মজ্ঞানের বিষয় স্মরণ থাকিতে, ঐ স্কুল দেহই তোমার আস্থা, এইরূপ মিথ্যাজ্ঞান-স্বরূপ (দেহাভিমান ) হইতে কখনই অবকাশ পাইবে না। যথার্থ জ্ঞান থাকা সময়ে মিথ্যাজ্ঞান কঙ্কাচ জাম্পদ করিতে পারে না । অন্ধকারাচ্ছন্ন ক্ষুদ্রবৃক্ষটিকে একবার বৃক্ষ বলিয়া জানিতে পারিলে, তাহ স্মরণ থাকিতে, কখনও আর সেই বুক্ষকে তৃতজ্ঞান করিয়া কেহই ভয়োদ্বিগ্ন হয় না। অতএব আত্মজ্ঞানের স্মরণ থাকিতে, কখনই দেহাভিমান হইতে পারে না, এবং দেহাভিমান না হইলে, দেহাভিমান-মুলক বিষয়াকুরাগও অগত্যই হইবে না। যেরূপ আত্মজ্ঞানের