পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શ જી ] ধৰ্ম্মব্যাখ্য' । e রাগ থাকে, ( স্বার্থপরভাবটুকু বাদ দিয়া ) পরমেশ্বরের বিষয়েও সেইরূপ অনুরাগকে অতিশয় অনুরাগ বা অতিমাত্র পরাভক্তি বলে। যে অনুরাগের স্বারা ভক্ত ভগবদগত প্রাণ হইয়া যান। পরমভক্তগণ এই ভক্তিই প্রার্থনা করিয়া থাকেন ;— “যা প্রীতিরবিবেকানাং বিষয়েস্ব নপায়িনী । ত্বামনুস্মরতঃ সা মে হৃদয়াম্মাপলগতু ॥ (বিষ্ণু পুঃ ১অঃ ২০অ ১৭) । মহাত্মা প্ৰহলাদ বলিতেছেন, “ ভগবন্‌ ! বিষয়বীন্‌ লোকের যেমন স্ত্রী-ধনাদি বিষয়ে নিশ্চল অনুরাগ থাকে, তোমাকে অনুস্মরণ করিতে করিতে আমারও যেন তোমার প্রতি সেইরূপ নিশ্চল অনুরাগ হয়।” ভক্তিমাত্রেরই গতি উৰ্দ্ধস্রোতস্তিনী, সুতরাং আত্মার অধঃস্রোতস্বিনী গতি থাকিতে ভক্তি হইতে পারে না । কারণ, অধঃস্রোতস্বিনী আর উৰ্দ্ধস্রোতস্বিনী শক্তি, শীতোষ্ণাদির ন্যায় পরস্পর বিরুদ্ধ পদার্থ। কিন্তু যে পরিমাণে অধঃস্রোতস্বিনী শক্তির হ্রাস হয়, সেই পরিমাণেই উৰ্দ্ধস্রোতস্বিনী শক্তির বিকাশ হইতে পারে। শীতের মাত্রা যে পরিমাণে হ্রাস পাইবে, উষ্ণতার মাত্রা ঠিক সেই পরিমাণেই বাড়িবে। অতএব চিত্তের বিষয়াভিমুখীন গতি নিরুদ্ধ করিলেই ভক্তির বিকাশ হইতে পারে। যদি নিতান্ত অল্পমাত্রায় বিষয়াভিমুখী গতির নিরোধ হয়, তবে মৃদু ভক্তি হইবে, আর 'মধ্যমমাত্রায় নিরোধ হইলে মধ্যমভক্তি এবং অতিমাত্র নিরোধ হইলে অতিমাত্র ভক্তির বিকাশ হইবে। এখন ধুতি প্রভৃতি ধৰ্ম্মগুলি কি প্রকারে নিরোধ হইতে বিকসিত হয় তাহ বলিতেছি। - ধৃতির বিকাশ । বৃতি কাহাকে বলে তদ্বিষয় বলিয়াছি ( ৭ পৃ ৮ পং ) এখন কেবল ভস্থৎপত্তি বিষয় বলিলেই হইবে। . কোন বস্ত দেখিলে, শুনিলে, অথবা অন্য কোন ইত্রিয়ের দ্বারা প্রত্যক্ষ । করা মাত্রে, যদি তৎক্ষণাং কিছু কালের নিমিত্ত আমাদের নয়নাদি ইন্দ্রিয়