পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । দ্বিতীয় বিষয়েরই বিশেষরূপ জ্ঞান হইতে পারে না, এবং তাহার ধারণ বা স্মরণও থাকে না। তবে অনেক বার দেখিতে দেখিতে কোন কোন পশুর অল্পকালের জন্য কিছু স্মরণ থাকা দৃষ্ট হয় বটে, কিন্তু তাহ অতি অচিরস্থায়ী এবং অসম্পূর্ণ। সেই অতি সামান্ত স্মরণশক্তিও লেশমাত্র নিরোধশক্তিরই ফল। অতএব এখন জানা গেল যে, সংযম শক্তি বা নিরোধশক্তি হইতেই স্মরণ শক্তির উৎপত্তি। মনুষ্যদের স্বভাবতঃই অন্যপ্রাণী অপেক্ষায় নিরোধশক্তি অধিক পরিমাণে আছে, সুতরাং মনুষ্যের স্মরণশক্তিও স্বাভাবিকী। পরস্তু, স্বাভাবিকী হইলেও যাহারা সংযমের অভ্যাস না করিয়া উদামপশুর ন্যায় আপনার শক্তিগুলি যদৃচ্ছায় বিচরণ করিতে ছাড়িয়া দেন, র্তাহাদের যে কিঞ্চিৎ নিরোধ শক্তি আছে তাহাও ক্রমে ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া সঞ্চিতস্মরণশক্তিটু কও তিরোহিত হইয়া থাকে। আর যিনি সংযম শক্তির অনুশীলন করেন, তাহার ক্রমে এই শক্তির বৃদ্ধি হইয়া স্মরণশক্তিকে বদ্ধিষ্ঠ ও উন্নত করিতে থাকে। এখন ক্ষমার কথা শুন । ক্ষমার বিকাশ । ক্ষমা কি পদার্থ তাহ পূর্বেই (৭ পৃঃ ৭ প: ) বলা হইয়াছে, এখন ক্ষমার উৎপত্তি বিষয় ‘বলিলেই হইবে। ক্ষমার মূল যে নিরোধ শক্তি তাহা অতি সহজেই বুঝা যায়। কারণ, ক্ষমার লক্ষণের মধ্যেই নিরোধ শক্তি রহিয়াছে। কেহ তোমার অনিষ্ট করিলে তাহার প্রত্যপকারের নিমিত্ত যখন মন উদ্যুক্ত হয়, তখন তাহাকে নিরুদ্ধ—সংযত করিলেই ক্ষমা করা হইল, তাহা হইলেই মন প্রত্যপকার কার্য্যে নিবৃত্ত হইবে। পশুদিগের নিরোধ শক্তি নাই, সংযম নাই, ক্ষমাও নাই। তাহাদের অপকার করিলে যদি তাহারা ভীত না হয়, তবে অবশ্যই তাহার প্রত্যপ কারে, যত্নবান হইবে । দমের বিকাশ । দম কাহাকে বলে তাহাও (৭ পূঃ ৮ পং ) বলিয়াছি, এখন বিস্তারিত শুন । অন্তের ধন, মান, যশ, বিদ্যাদি দেখিয়া নিকৃষ্টহৃদয়পুরুষের মনের মধ্যে