পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ড ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ১২৩ একটা আঘাত লাগে, সেই আঘাতে অতিশয় দুঃখপ্রদ একপ্রকার কুপ্র বৃত্তি বিজুম্ভিত হয়, তাহার নাম ঈর্ষ্য। সেই দুঃখপ্রদ ঈর্ষাপ্রবৃত্তির শাস্তির নিমিত্ত অন্তের ধন, মান, বিদ্যাদি বিনষ্ট বা খৰ্ব্ব করার জন্য নানাপ্রকার যত্ন হইয়া তাহা কার্য্যে পরিণত হইতে থাকে। কিন্তু যখন পরধনাদি দর্শনে প্রথম মনের মধ্যে আঘাত লাগিয়া ঈর্ষার পরিষ্করণ হইবে, তখন মনকে নিরুদ্ধ-সংযত করিতে পারিলে ঈর্ষ্য বা পরাপকারের প্রবৃত্তিও হইতে পারে না। সেই সংযম বা নিরোধকেই দম বলা যায়। অতএব সহজেই বুঝা যায় যে, দম-শক্তি নিরোধ শক্তি ইইতে সমুৎপন্ন। অস্তেয়ের বিকাশ । অস্তেয় ব্যাখ্যাত হইয়াছে—( ৭ পৃ ১১ পং ) । যখন প্রলোভের পর তন্ত্র হইয়া অন্যায় পূৰ্ব্বক পরধনাদি গ্রহণের জন্ত মনের চঞ্চলত উপস্থিত হইতে থাকে, একমাত্র নিরোধই তখন নিস্তারের সম্বল। নিরোধের প্রভাবে চিত্ত সংযম করিতে পারিলেই চৌর্য্যাদি কুপ্রবৃত্তি হয় না। স্বতরাং অস্তেয় প্রবৃত্তিটাও স্বয়ংই নিরোধ শক্তি বিশেষ। শোচের বিকাশ ! শৌচ ও পূর্বেই ব্যাখ্যাত হইয়াছে (৭ পৃঃ ১২ পং ) । মনের লঘুতা, অর্থাৎ এক প্রকার হাল্কা হাল্কা ভাব-2বা নিৰ্ম্মলতার নাম মনের শুদ্ধি বা শৌচ। আর মনের গুরুত্ব অর্থাৎ এক প্রকার ভারি ভারি মত ভাব বা অাবিলতার নাম মনের অশৌচ ৷ চিত্ত যতই বিষয়ের সহিত সমাসক্ত হইয়া জড়িত থাকে, ততই তাহার গুরুত্ব,-অর্থাৎ আত্মার শক্তিসকল বাহিরের নানা প্রকার বিষয়ের সংগ্রহের নিমিত্ত চক্ষু কর্ণাদি নানা দ্বারের দ্বারা চারিদিকে বিকীর্ণ হইয়া শরীরের প্রত্যেক অণুতেই অনুপ্রবিষ্ট হইয়৷ জড়িত হইয়া পড়িলে আত্মার এক প্রকার ভারীত্ব মত ভাব—জড়িত জড়িত ভাব-নিশীথে ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন অরণ্য মধ্যে একাকী প্রবেশ করিলে যেরূপ আপনার অস্তিত্বে অন্ধ অন্ধ মত ভাব হয়, সেইরূপ অন্ধ অন্ধ মত ভাব, যাহা দেহাভিমানীদিগের সর্বদ হইয়া থাকে। আর আত্মার শক্তি বা মন যতটুকু পরিমাণ দেহাদির সহিত অনাসক্ত হয়, অর্থাং দেহ হইতে আল্লা