পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>88 ধৰ্ম্মব্যখ্যা চঞ্চলতাই যে অধৰ্ম্মের মূল, এবং আত্মার স্থিরতা ধৰ্ম্মের মূল, তাহ দ্বিতীয় খণ্ডে অতি বিস্তারে বুঝাইয়াiছ। পূৰ্ব্বে যে ইন্দ্ৰিয়বৃত্তি-নিরোধ-প্রভৃতি নানাবিধ নিরোধ ব্যাখ্যাত হইরাছে, (৬৬ পৃঃ ২৬ পং) বিশেষ যত্ন করিলেও নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত শরীরের মধ্যে যে কোন স্থানেই আত্মাকে বসাঙ্গয় তাহার কোন প্রকার নিরোধষ্ট হইতে পারে না। দেখান স্টুতে আস্থার শক্তি প্রথম প্রবা হিত হুষ্ঠা চলে, কিম্ব দেখানে গিয়। ঐ শক্তি এক প্রকার শেষ পায়, অথবা যেখানে গিয়। বাহিরের কোন বস্বর সহিত সংযুক্ত হয়, কিম্বা মেস্তানে আত্মার শক্তি একটু রূপান্তরিত হইয়া উত্তেজিত ও অনুপ্রযুক্ত হইয় থাকে, কেবল সেই সেই স্থানেই অর্থ স্থার শক্তি অবরুদ্ধ বা সংঘাত করিয়া আয় স্তু করাযায়। আর যে যে স্থানের দ্বারা আয়ার শক্তি বরাবর প্রবাহিত হইয়া চলিয়া যায়, অবস্থিতি করে না, সেখানে আত্মাকে অবরুদ্ধ করা যায় না ; অর্থাৎ মস্তিষ্ক, কিম্বা মস্তিস্কর শেষভাগ, অথবা স্নায়ুপৰ্ব্ব, কিম্বা শরীরের চৰ্ম্মান্তপ্রদেশ, এই সকল স্থানেই ধারণা হয়, আর স্নায়ুর মধ্যস্থানে আত্মাকে রাখিয় ধারণা কদাচ হয় না । ইহা বিশেষরূপে বুঝাইয়া দিতেছি শুন । জীবাত্মা মস্তিষ্কবাসী ইহা সমস্ত শ্রীতি, স্মৃতি, দশন ও পরীক্ষা এবং প্রত্যক্ষ অনুভবের দ্বারা নির্ণীত ; সুতরাং মস্তিষ্কের মধ্যেই প্রথমে জীবাস্থার শক্তি পরিস্ফরিত হইয়। চারিদিকে চলিয়া যায় ; এজন্ত মস্তিষ্কই এক রূপ ঐ শক্তির খনি বলিলেও হয়। অতএব সেই খানে অর্থাৎ মস্তিষ্কের মধ্যে-ব্রহ্মরন্ধে, আত্মার শক্তি নিরুদ্ধ করিয়া রাখা যায়। প্রত্যেক স্নায়ুপৰ্ব্ব (१०१ ২• পং ) ই আত্মার শক্তিকে এক একটু রূপান্তরিত করত উত্তেজিত করিয়া অনুপ্রযুক্ত করিয়া দেয়; সুতরাং প্রত্যেক স্নায়ুপৰ্ব্বই কিছু কিছু পরিমাণে মস্তিষ্কের কার্য্য করে বলিয়া, প্রত্যেক স্নায়ুপৰ্ব্বহ আত্মার এক একটি ক্ষুদ্র বসতি স্থান—বা বিশ্রাম স্থান বলিতে পারা যায়(ক)। অতএব, স্নায়ুপৰ্ব্ব মধ্যেও আত্মার শক্তি অবরূদ্ধ করিয়া রাখা যায়। কিন্তু বড় বড় স্নায়ুপৰ্ব্ব ব্যতীত অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বায়ুপর্কে নিরোধ করা সম্ভবে না;—এ নিমিত্ত নাভি চক্রে—নাভির (ক) ৭• পৃ ২১ অবধি ৭১ পৃ ১০ পং পৰ্য্যন্ত দেখ।