পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণ্ড] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । -28& সমস্থানবৰ্ত্ত-অভ্যন্তর-প্রদেশে যে স্ববৃহৎ স্নায়ু-পৰ্ব্ব আছে, এবং झनब्ब পুণ্ডরীকে, অর্থাৎ হৃৎপিণ্ডের সন্নিহিত যে বড় মত স্নায়ু-পৰ্ব্ব আছে তাহাতে, আর কুলকুগুলিনীর স্থানে—মূলাধারাদিতে—আত্মার শক্তি নিরূদ্ধ করিয়া রাখা যাইতে পারে। - মস্তিষ্কহইতে বিসর্পিত হইয়া শরীরের চৰ্ম্মপৰ্য্যন্ত আসিয়াই আত্মার শক্তি একরূপ শেষ পায়, অথবা শরীরসংলগ্ন কোন বাহ বিষয়ের সহিত সংযুক্ত হয় ; অতএব শরীরের চৰ্ম্ম প্রদেশেও আত্মার শক্তিকে অবরুদ্ধ করা যায়। সুতরাং নাসিক গ্রে, জিহবাগ্রে, ইত্যাদি স্থানে মাত্মার শক্তি অবরুদ্ধ করা যায়। কারণ ঐ সকল স্থানেই আত্মার শক্তি আসিয়া শেষ পায়, অথবা রসনাদিসংলগ্ন মধুরাদি-রস, ও শীতোষ্ণাদি স্পর্শ প্রভৃতি বিষয়ের সহিত সংযুক্ত হয়। কিন্তু আত্মার শক্তি প্রবাহিত হইয়। যাইতে যাইতে সংযত করা সম্ভবে না ;—ম্নায়ু মণ্ডলের দ্বারা আত্মার শক্তি প্রবাহিত হয় (৭০ পৃ, ৫ পং) । অতএব স্নায়ুর মধ্যে আত্মার শক্তি-নিরুদ্ধ করিয়া রাখা যায় না। চেষ্টা করিলেও তাহ বিফল হইবে। আর কোন বাহ বিষয়ে লক্ষ্য করিলেও চিত্তের ধারণাকার্য্য, সংসাধিত হয় । শরীরপ্রদেশে ধারণার প্রণালী,ও তুৎফল । এখন ধারণার বিবরণ শুন । —মনে কর, তোমাকে যেন হৃদয়পদ্মে অর্থাৎ হৃৎপিণ্ডের সন্নিহিত স্নায়ু পর্কে ধারণা করিতে হইবে , কিন্তু তুমি এই স্থল দেহটাবাদে শরীরের অভ্যন্তরের তত্ত্ব কখনও অনুভব কর নাই ;---যাহা কিছু তোমার জ্ঞান, ধ্যান, সমস্তই এই মোট দেহটা লইয়া,—মোট দেহকেই তুমি “অহং,—আমি বলিয়া বিশ্বাস ও অনুভব করিতেছ। আত্মার শক্তি ব৷ আত্মা, বা হৃদয় পুণ্ডরীক কিছুই কখনও অনুভব কর নাই,—সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধ। অতএব প্রথম হৃদয় পদ্মহ তোমার অনুভব করা অতীব দুরূহ, তংপর আত্মার শক্তির অনুভব করা আরও অসম্ভব। এজন্য প্রথম তোমাকে আত্মশক্তি বা হৃৎপিণ্ড অথবা তৎসন্নিহিত স্বায়ুপর্বের দিকে লক্ষ্য না করিয়া সমস্ত বক্ষপ্রদেশটিই মুনের দ্বারা(চক্ষুর দ্বারা নহে)লক্ষ্য করিয়া থাকিতে হইবে। সমস্ত বক্ষপ্রদেশটি লক্ষ্য করিয়া যখন কিছু বেশীকাল থাকিতে পারিবে, তখন 之o