পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৩ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । তৃতীয় ফুসফুস দ্বয়, হৃৎপিণ্ড ও তৎসংলগ্ন মাংসপেশী (খ) অনুভব হইতে থাকিবে। ফুসফুস হৃৎপিণ্ডাদি অনেক কালপর্য্যন্ত লক্ষ্য করিয়া থাকিতে পারিলে আপনিই সেই ফুস ফুস হৃৎপিণ্ডাদি সংলগ্ন এবং তাহাদের মধ্যে অনুস্থ্যত স্নায়ুমণ্ডলের অনুভব হইতে থাকিবে। তৎপর সেই স্নায়ুমণ্ডলকে লক্ষ্য করিতে করিতে অনেক কালপরে আপনিই সেই স্নায়ুমণ্ডলের মধ্যবৰ্ত্তি শক্তির অনুভব হইতে থাকিবে,—ষে শক্তির দ্বারা তোমার ফুসফুস প্রতি মিনিটে ৭০।৭৫ বার নৰ্ত্তন করিতেছে এবং তোমার হৃৎপিণ্ড প্রতি মিনিটে ১৮১৯ বার নৰ্ত্তন করিতেছে,—যে নৰ্ত্তন তুমি বক্ষের দিকে বাহির হইতে তাকাইলেও [খ] তোমার বক্ষপ্রদেশটা যে, বাম ও দক্ষিণ ছভাগে বিভক্ত তাহা হৃদয়ের দিকে দৃষ্টি করিলেই তছ, এবং দুদিকেরই যে একএকটু উন্নতআকৃতি আছে তাহাও দেখিতেছ ; ঐ ঈষৎ উচ্চ প্রদেশদ্বয়ের নীচে পাতলা মত ক এক খণ্ড মাংসপেষী আছে, তাহার নীচে পাজরের অস্থি আছে, তাহার নীচে তোমার ঐ বক্ষপ্রদেশের গহবরটি পূরিয়া বাম, দক্ষিণে দুটি যন্ত্র আছে, তাহাদের আকৃতি একএকটি সবৃন্ত সুবৃহৎ ফুলকক্ষীর ফুলের সহিত অনেকাংশে মিলে। ইহার বর্ণ কতকটা বেগুণে বেগুণে মত। এই যন্ত্রদ্বারা শ্বাস প্রশ্বাস কার্ষ্য নিৰ্ব্বাহ হয়, রক্ত পরিস্কৃতি করা হয়। শ্বাসের কালে ঐ যন্ত্রের মধ্যগত লক্ষ লক্ষ ছিদ্রের মধ্যে বায়ু প্রবিষ্ট হইয়া থাকে ; আবার প্রশ্বাস কালে সেই বায়ুগুলি বাহির হইয়া যায়। এই যন্ত্র দুটির নাম “ফুসফুস’। এই দুটি ফুসফুস দুটি বৃন্ত বা বোটার সঙ্গে আঁটা আছে। এই ফুসফুস দুটির মধ্যস্থানেই কিছু একটু বাম-ভাগে সরিয়া আর একটি যন্ত্র আছে, তাহার আকৃতি অনেকাংশে একটি পদ্ম কলিকার স্থায়, ইহার বর্ণও পাওর পদ্মের বর্ণের মত। ইহা ফুসফুস স্বয়ের মধ্যে অধোমুখে অবস্থিত, ইহার একটি বৃন্তের মত আছে, তাহাতেই যেন ঝুলিতেছে, ইহার সঙ্গে সংলগ্ন বড় দুটি ধমনী আছে,—যাহা নলের মত ফাপ,—যাহা হইতে অনন্ত ক্ষুদ্রতম ধমনী সকল বাহির হইয়া পদতল অবধি মস্তক পৰ্য্যন্ত শরীরের সর্বাবয়বকে ওতপ্রোত ভাবুে গাথিয় রাখিয়াছে। উক্ত যন্ত্রটির ও কাৰ্য্য রক্ত পরিষ্কার করা এবং রক্ত প্রেরণ করা অর্থাৎ এই