পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[খণ্ড ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । · > 8ማ কিছু কিছু দেখিতে পাও,—যাহাকে সাধারণ লোকে “পাচ পরাণ কাপে” বলিয়া থাকে। এই ক্রিয়া লক্ষ্য করিয়া থাকিতে থাকিতে অনেক কাল পর আপনিই তোমার সেই হৃদয় পুণ্ডরীক নামক স্নায়ুপৰ্ব্ব (৭০ পৃ ২০ পঃ ) ধর পড়িবে। এবং সেইখানেই তোমার আয়ার শক্তির অনুভব হইতে থাকিবে । এইরূপে ক্রমেক্রমে স্থল হইতে স্থক্ষ্মে গিয়া গিয়া অবশেষে সেই প্রকৃত লক্ষ্য-স্নায়ু পৰ্ব্ব মধ্যেই আত্মার শক্তি লক্ষ্য কৰুি ধারণা হইবে । যখন শরীরের অন্যান্ত স্থান পরিত্যাগ পূর্বক কেবল মাত্র সমস্ত বক্ষপ্রদেশটিই লক্ষ্য করিয়া নিবিষ্ট থাকিবে, তখন তোমার জীবাত্মার ব্যুত্থানশক্তির (৬ পৃ ৪ পং) বিস্তৃতি একটু কমিবে—একটু আকুঞ্চিত হইবে, অর্থাৎ তোমার সর্বদেহব্যাপিনী বুখানশক্তি সৰ্ব্বদেহ হইতে ওটিয়া হৃদয়ের দিকে যেন জড় হইতে থাকিবে ; বুখানশক্তির বলও একটু কমিবে ; সুতরাং ফুসফুস হৃৎপিণ্ডাদির ক্রিয়া যন্ত্র মধ্যে এক একবার চাপ লাগিয়া ঐ পূৰ্ব্বোক্ত নলাকার পদার্থগুলির দ্বারা পিচকিরির জলের ন্যায় রক্ত প্রবাহিত হইয়া সৰ্ব্বশরীরে পরিব্যাপ্ত হয়। এই নলাকার পদার্থের নাম ধমনী’, এবং ঐ যন্ত্রটির নাম “হৃৎপিণ্ড’ । হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুসের নিজ হইতে কোন ক্রিয় করার ক্ষমতা নাই, এবং ইহাদের সহিত সংলগ্ন অনেকগুলি মাংস পেৰী-মাংসের চাপড়া মত –আছে তাহাদের ও নিজের কোন কাৰ্য্য করার ক্ষমতা নাই ; কিন্তু পূৰ্ব্বে যে স্নায়ুর কথা বলা হইয়াছে (৬৮ পৃ ২৮ পং) সেই স্নায়ু সহস্ৰ আসিয়া এই ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, ও তৎসংলগ্ন মাংসপেষী গুলিকে ওতপ্রোত ভাবে গাথিয়া রাখিয়াছে ; তাহাদ্বারা প্রবাহিত হুইয়া মস্তিষ্কস্থিত আত্মা হুইতে শক্তি সুসিতেছে, সেই শক্তি তোমার ঐ মাংসপেষী ও ফুল ফুস, হৃৎপিণ্ডাদির আকুঞ্চন ও প্রসারণাদিক্রিয়া সাধন করিতেছে, এবং সেই আকুঞ্চন প্রসারণের শক্তি দ্বারা ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড পরিচালিত হইয়া আপন২ কাৰ্য্য সাধন করিতেছে। এই ফুসফুস, হৃৎপিণ্ডtiদর নিকট একটি বড় মত স্বায়ু পৰ্ব্ব (৭০ পৃ. ২০ পং) অছে, তাহা হইতেই স্নায়ুসমূহ বাহির হইয়া ফুসফুসাদির ব্রুিয়া নিম্পূঃ হইতেছে। ( যাহারা সংস্কৃতানভিজ্ঞ তাহারা মনে করিতে পারেন যে “শরীর স্থানের যেটুকু দেয়া হইল ইহ সংস্কৃত শাস্ত্রের কথা নহে, ইংরাজীর