পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ગ્લર ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । তৃতীয় - { - ঐ সকলস্থানলক্ষ্য করা যাইতে পারে। কারণ, ইহাতে অভ্যন্তরে লক্ষ্য করিতে হয় না। প্রত্যেক রকম ধারণারই ফল ও তাহার প্রক্রিয় একই প্রকার। এই গেল শরীরের মধ্যপ্রদেশের ধারণ, অতঃপর বাহ-বিষয়ের “ধারণার” প্রণালী শুন-- বাহ বিষয়ে ধারণার প্রণালী ও তাহার ফল — বাহ-বিষয়ে “ধারণা” সম্বন্ধে পুরাণ,—“প্রাণায়ামেন পবনং প্রত্যাহারেণ চেন্দ্রিয়ম্। বশীকৃত্য ততঃ কুৰ্য্যাচ্চত্তস্থানং শুভাশ্রয়ে” প্রাণায়ামম্বারা প্রাণাদি শক্তি বশীভূত করিয়া, প্রত্যাহারের দ্বারা ইন্দ্রিয় সমূহ বশীভূত করিয়া অনন্তর শুভআশ্রয়ে চিত্তের স্থাপন করিবে। শুভাশ্রয় বিষয়ে ও পুরাণ ৩ ঘণ্টা ৩ ঘণ্টা পৰ্য্যন্ত এই যন্ত্রটিতে অবস্থিতি করে, এবং এই যন্ত্রটির মধ্য হইতে এক প্রকার পাচক রস স্তন্দিত হইয়া (চোয়াইয়া) ভুক্ত বস্তু গুলিকে গলাইয়া ফেলে, ইহা এই ষন্ত্রের কার্য্য । এই যন্ত্রটির নাম (পাকস্থলী) । এই পাকস্থলীর দুদিকে যে দুটি যন্ত্র আছে,-যাহ বাম ও দক্ষিণ এই দুই পাখে সংলগ্ন, চিত্র ব্যতীত কেবল কথার দ্বারা তাহার আকৃতি বুঝাইয়া দেওয়া যায় না। তাহার যেটি দক্ষিণদিকে সেইটি যকৃৎ, আর যেটি বামদিকে সেইটি প্লীহা। যকৃৎ হইতে পিত্ত নিস্তন্দিত হইয়া ভুক্তপীতদ্রব্যকে রূপান্তরিত করে। প্লীহা হইতেও একপ্রকার সাদা মত রস নিস্তন্দিত হয় সেই রস দ্বারাও যকৃতের মতই কাৰ্য্য হয়। পাকস্থলীর শেষ স্থান হইতে যে প্রণালীটি গিয়াছে তাহার কতকটা অংশের নাম ক্ষুদ্র পাকস্থলী। ক্ষুদ্র পাকস্থলীর সহিত পিত্তস্থলীর সহিত যোগ আছে, সেই পিত্তস্থলী হইতে পিত্ত নিস্তন্দিত হইয়া ক্ষুদ্র পাকস্থলীর মধ্যে . গিয়া ভূক্তপীতদ্রর্যের সহিত সন্মিশ্রিত হইয়া তাহ দ্রব করিয়া দেয়। ক্ষুদ্র পাকস্থলী সেই জব রস গ্রহণ করিয়া শিরা সমূহে অৰ্পণ করে। উক্ত সমস্ত ঘন্ত্রেরই সংলগ্ন মাংসপেষী আছে, এবং সেই পেশীয় মধ্যে অনুহ্যত স্বায়ু আছে তাহ হইতেই শক্তি প্রাপ্ত হইরা ঐ সকল যন্ত্র আপনাপন কাৰ্য্য নিম্পর করির থাকে, । উক্ত স্নায়ু মমূহের মূলে প্রায় নাভিসমস্থানে একটি স্ববৃহৎ স্নায়ু পুৰ্ব্ব আছে, সেইটির নাম ‘নাভিচক্র” । " -: