পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tు - ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । তৃতীয় ধ্যানের বিবরণ । এখন ধ্যান কাহাকে বলে তাহা শ্রবণ কর। গুরুদেব ভগবান পতछलि বলিয়াছেন “তত্র প্রত্যয়ৈকতানত ধ্যানম” (পাত,৩পা২স্থ ) হৃদয়াদি কোন এক স্থানে (ধারণার) অভ্যাস হইলে সেইখানে কেবল একটি মাত্র বিষয় । নিশ্চল ভাবে চিন্তা করার নান ধান। যতক্ষণ চিত্ত একবারে একাগ্র । না হয়, ক্ষণে ক্ষণে অন্যান্ত বিষয়েও যায়, ততক্ষণ প্রকৃত ধ্যান হয় না। অতএব যতক্ষণ সম্পূর্ণ একাগ্রত না হইবে, ততক্ষণ ধ্যানাভ্যাস করিতে হুইবে " " ধ্যানবিষয়ে পুরাণ বলিতেছেন,—“ তদ্ধপ-প্রতায়ৈকাত্ৰ্য-সন্ততিশ্চলন্ত নিম্পূহ। তদ্ধানং প্রথমৈরঙ্গৈ: ষিদ্ভিপাদ্যতে নৃপ।” অনন্তচিত্ত হইয়। ধারাবাঙ্গী ভগবানের চিন্তার নাম ধান। যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, আর ধারণা এই ছয়টি অঙ্গ দ্বারা ধান নিম্পন্ন হয়।” - শিষ্য।-ধারণা, আর ধ্যানের পার্থক্য কি তাহ বুৰিতে পারিলাম না বিশেষ করিয়া বলুন। _ আচার্যা। —ধারণাতে, হৃদয়, নাভিচক্র, ব্ৰহ্মরন্ধ প্রভৃতি এক একটি স্থানে লক্ষ্য করিয়া সেই খানে মনকে আবদ্ধ করিতে হয় ; কিম্বা বহিঃস্থিত। কোন মূৰ্ত্তি একদৃষ্টি দেখিয়া সেই খানে মন নিবন্ধ করিতে হয় ; ধান তাহ মহে, ধারণার অভ্যাসের দ্বারা চিত্তের নানাদিকে গতিশক্তি বিনষ্ট হইলে, হৃদয়াদি স্থান বা বাহিরের মূৰ্ত্তি লক্ষা না করিয়া কেবল মাত্র চিন্তনীয় বিষয়টি লক্ষ্য করিতে হইবে,-অর্থাৎ ধারণাতে যেরূপ চিত্তকে শরীরের এক এক স্থানে আবদ্ধ করিয়া রাখার যত্ন করিতে হয়, ধ্যানে তাঁহা করিতে হয় মা ; শরীরের অৰয়ৰ বাদ দিয়া কেবল চিন্তনীয়-বিষয়েরই চিন্তা করিতে হইবে। অতএব ধারণা এবং ধ্যান বিভিন্ন পদার্থ। । - ধ্যানের দ্বারাওঁ নিরোধের বৃদ্ধি, আত্মজ্ঞানাদি-ধর্মের বিকাশ, এবং বুখার্মশক্তিয় বিনাশ হইয়া আত্মা কৃতাৰ্থ হয়। . স্বেরূপে তাই হয় তাহ ঈমাধি প্রকরণেই খলিতেছি ।