পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ শেষসীমা এবং স্নায়ুর মূল-প্রদেশ, পর্যাপ্ত প্রবৃত্তি’ ব, যত্ন । অতএব অধ্যবসায়, অহঙ্কার ধর ক্ষে, हेशब्र गकप्ण३ ७कहे भख्त्रि नामण्डन वालीङ भात्र किइरशा । মধ্যে যত প্রকার শক্তির ক্রিয়া হয, তৎসমপ্তেই এইরূপ ব্যবহাঙ্গনামিৰে। ইহার মধ্যে আর একটি কথা আছে, তাহাও বুধিয়া লও।--আশয় অনেক সময় একই বস্তুকে আধারও আধেয়-রূপে ভিন্ন-তাৰে ব্যবহার কলি৷ থাকি, এবং ঐরূপ ব্যবহাৰ কবিয়া সেই একই বস্তুর বিভিন্ন নামও দিয়া থাকি ;-যেমন ভিত্তিব গাত্র, পৰ্ব্বতের দেহ, ইত্যাদি। এখানে ভিত্তি, আর তাহার গাত্র, কিম্বা পৰ্ব্বত, আর তাহার দেহ বিভিন্ন এক একটি পদার্থ নহে, ভিত্তিও ষে পদার্থ, ভিত্তির গাত্রও তাহাই, --পৰ্ব্বতও যে পদার্থ, পৰ্ব্বতেৰ দেহ ও তাহাই, অথচ ‘যখন ভিত্তির গাত্র, পৰ্ব্বতের দেহ’ বলা যাইতেছে, তখন ভিত্তি আর তাহাব গীতকে, পৰ্ব্বত আর তাহার দেহকে ভিন্নভাবে ব্যবহার কব, যাইতেছে, “আমার ধন’ ‘আমার পুত্র বলিলে যেরূপ আমি আর আমার ধন ও পুত্রকে ভিন্ন ভাবে ব্যবৰ্তাব করা হয়, এখানেও সেইরূপ ;–এখানে ভিত্তি অার পর্বতকে, তাহাদের গাত্র আর দেহের আধারভাবে ব্যবহার করা হইতেছে,--আবার বাস্তবিক সেই বস্তুকেই তাহাজের ‘গাত্র এবং ‘দেহ বলিষা .বিভিন্ন আধেয়ভাবে ব্যবহার কলা হইতেছে। আত্মার শক্তিকেও আমরা এই প্রকার এক বস্তুতেই আধাব ও আধেয়কপ-ভিন্নভাবে ব্যবহাব করিয়া থাকি। পূৰ্ব্ব কথিত নানাপ্রকাব অবস্থাপন্ন আত্মশক্তিকে যখন আধেয়-ভাবে ব্যবহার করা যায়, তখন এক-এক অবস্থাভেদে অধ্যবসায়,—অহঙ্কাব, যত্ন, চেষ্টা বলা যায়,—আর যখন সেই শক্তিকেই আবার অধিকরণ-ভাবে ব্যবহার করা হয়, তখন বুদ্ধি, অভিমান, মন, ও ইঞ্জিয় বলিয়া থাকি। অর্থাৎ শরীর মধ্যে যে সকল, শক্তির ক্রিয়া হয়, তাহার প্রথম পরিষ্করণ-কালে (স্বত্রাবস্থায়) তাহাকে, তাহার আধেয় ভাবে ব্যবহার করিলে অধ্যবসায় অথবা ইচ্ছ, বা ‘নিশ্চয়’ বলা যায়, আর অহাকেই আবার অধিকরণভাবে ব্যবহার করিলে বুদ্ধি বলা যায়, আর যখী ঐ শক্তিটি মস্তিষ্কের মধ্য-ভাগে জারিয়া ক্রিয়া করে তখন তাহাকে, তাহার আধেয়-ভাবে ব্যবহার করিলে, “মহঙ্কার’ বলা যায়,