পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । -১৭৭ ৷ । । ५धन তোমার জ্ঞানশক্তি, পরিচালনশক্তি এবং তাহাদের ক্রিয়া মধ্যমযাত্রায় বা মৃদ্ধ মাত্রায় থাকিবে, অর্থাৎ এখন তোমার হস্ত পদাদির পরিচালন এবং সমুখস্থিত বস্তুর দর্শন-স্পর্শনাদি ও কিছুই হইতে থাকিবে, একবারে বন্ধ হইবে না । ‘ · . . . - আর আমরা যখন পরিপূর্ণ অাহারটি করিয়া উঠি, তখন দs অান মাত্রায় পোষণশক্তির পরিষ্করণ হয়, তাহারক্রিয়া ও দs আন মাত্রায় হইতে থাকে তখন সৰ্ব্বশরীর অতি গুরুতর—ভারী২ বোধহয়,অলিন্ত উপস্থিত হয়,এই সময় পরিচালনাশক্তি ও তাহার ক্রিয়া দ৭ আন মাত্রায় কমিয়া যায়, তখন গমনাদি পরিচালনা কাৰ্য্য করিতে, কিম্বা দৰ্শন-চিন্তাদি জ্ঞানেজিয়ের কার্য্য করিতে নিতান্ত অবসাদ অনুভূত হয়। ক্রমে পোষণশক্তির পূর্ণমাত্রায় বিকাশ, এবং তাহার ক্রিয়াও পূর্ণমাত্রায় হইতে থাকে, তখন আপনাকে এত গুরুতর বলিয়া-ভারী বলিয়া বোধ হয়, যেন নিজকে আর বহন করিতে পারি না, পরিচালনশক্তি, জ্ঞানশক্তি আর তাহাদের ক্রিয় প্রায় পূর্ণ মাত্রায় ক্ষীণ হইয়া পড়ে, চকু-প্রভৃতি সমস্ত জ্ঞানেক্রিয়ের ক্রিয় নিস্তব্ধ হয়, হস্তপদাদি কৰ্ম্মেস্ক্রিয়ের ক্রিয় এককালে শিথিল হইয়া পড়ে, তখন শয়িত হইলাম, নিদ্রা হইল। ফুসফুস,হৃৎপিণ্ড ও পাকস্থলী প্রভৃতি-যন্ত্রের দ্বারা কেবল পোষণশক্তিই ক্রিয়া করিতে লাগিল। কিন্তু পরিচালন ক্রিয়া বন্ধ হইলে শরীরাবয়বের ক্ষয় হয় না, সুতরাং পুষ্টিশক্তি পূর্ণমাত্রায় উত্তেজিত হইলেও বিশেষ কাৰ্য্য হইতে পারে না, বরং অরিং কএকটি কারণে তাহার কাৰ্য্য কম কমই হইয়া থাকে । , হয়, তৎপর তাহ রক্তরূপে পরিণত হয়, তৎপর সেই রক্তীয় স্বয়ং আশংসকল শরীরের অবয়বে পরিণত হয়, অর্থাৎ রক্তের কতকগুলি স্বল্প অংশ মাংসভাবে পরিণত হয়, কতকাংশ, অস্থিভাবে, কতকাংশ স্বায়ুভাবে, কতকাংশ মস্তিক্ষভাবে কতকাংশ মজ্জাভাবে, কতকাংশ বা নাড়ীভাবে, কতকাংশ ফুলফুসভাবে, কতকাংস বা হৃৎপিওভাবে পরিণত হয়। এইরূপ অসখ্য . প্রকারেই পরিণত হয়। এই ক্রিয়াকে পুরি ক্রিয়া বা পোষণ-শক্তির 8