পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

५७] ধৰ্শ্বব্যাখ্য' । ›ጎቖ মৃৎপিণ্ডের ম্ভায়অন্ধ পদার্থ হই ? যদি দর্শন জ্ঞান, শ্রবণজ্ঞান, রসজ্ঞান, স্পৰ্শনজ্ঞান, গন্ধজ্ঞান কিম্বা মানসিক কোন বিষয়ের চিন্তা বা স্মরণরূপ জ্ঞানও আমাদের কোন সময়ে না, থাকে, তবে কি তখন আমরা কাষ্ঠখণ্ডের ন্যায় জ্ঞানশূন্য পদার্থ হই ?—কখনই না, না,-আমরা তখনও জ্ঞানশূন্য পদার্থ হই না। কোন বিষয়েরই যদি জ্ঞান ন হইল তৰে কিসের জ্ঞান হইবে ? হইবে, আমার নিজের জ্ঞান হইবে, তখন কেবলমাত্র আমাকেই আমি অনুভব করিতে থাকিব। আমার মধ্যে । যে সকল শক্তি আছে,--যে সকল শক্তির সমষ্টি একত্রিত করিয়াই (আমি) যে পরিচালন শক্তি আমার সমস্ত দেহ মধ্যে পরিব্যাপ্তভাবে যেন পোরা রহিয়াছে, যে পোষণ-শক্তি আমার শরীর ব্যাপিয়া ক্রীড়া করিতেছে, যে জ্ঞান-শক্তি শরীরের প্রত্যেক শাখা প্রশাখায় বিস্তৃতভাবে রহিয়াছে সেই সাত্বিক রাজসিক তামসিক শক্তিত্রয়ের সমষ্টিস্বরূপ—আমাকেই আমি অন্তরে অন্তরে অনুভব--জ্ঞান—করিতে থাকিব ; ইহাকেই সূৰ্ব্বদেহব্যাপক একটা (আমি) অনুভব করিব। - . ' শিষ্য। আপনার এবাক্যাবলীর যে কোন অর্থ আছে, এরূপই আমার বোধ হইতেছে না । . . . . . আচাৰ্য্য। তুমি যে এসমস্ত বিষয়গুলি এইরূপই বুঝিবে,তাহ আমি পূৰ্ব্বেই .'অবগত মাছি, তথাপি আমার মনের বেগে ভগ্ন-সংযম হইয়া এত পরিশ্রমে প্রবৃত্ত হইয়াছি, একজন অরণ্য-বাসীলোক,-যিনি যাবজ্জীবনে একখানি তৃণ কুটার কিরূপ তাহাৎ সন্দর্শন করেন নাই, তাহার হৃদয়পটে একটি সমস্ত কলিকাতা সহরের চিত্র করিয়া দেওয়া বোধহয় কাহারও ক্ষমতা নাই ইহ আমার নিতান্ত বিশ্বাস আছে। তোমরা বাহিরের ইট, এমারৎ, বিল্ডিঙ বালাখানা, গাছ, পালা ব্যতীত, স্বপ্নেও একবার নিজ শরীর মধ্যে প্রবেশ কর নাই; অথচ আমি তোমাদিগকে ক্রমাগত সেই দেহ মধ্যগত তত্ত্বকথা না বুঝাইয়া ছাড়িৰ না,ইহা আমার বালকের ক্রীড়ার স্কার ফলশূন্ত অনুষ্ঠান বটে। তথাপি যদি শুনিতে গুলিতে ভবিষ্যতে কখনও বুঝিতে পার এই আশায় বলিতেছি। . . . তুমি যে মৰ্ব্বদাই তোমার অস্তিত্বের অমৃতৰ করিতেছ, তাহ কিছুই