পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

શ૭ ] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । . لاهد হইতে—জীবাত্মাহইতে—পৃথক্ বা বিভিন্ন কোন বস্তু নহে,—উহা আমাদের ‘আমির’—জীবাত্মারই—একএকপ্রকার অবস্থামাত্র। এই দেহের শৈশবভাব, যৌবনভাব, প্রৌঢ়ভাব, বা বাৰ্দ্ধক্যাদিভােব যেরূপ আমাদের দেহটা হইতে অতিরিক্ত বিভিন্ন কোন বস্তু নহে, উহা দেহটারই একএকটা ভিন্নভিন্ন প্রকার অবস্থামাত্র ; ভক্তি, ক্রোধ, সুখ দুঃখাদি শক্তিগুলিও তেমন আমাদের ‘আমির ”—জীবাত্মার—একএকটা ভিন্ন ভিন্ন মত আকৃতি বা রূপান্তর মাত্র । © শৈশব অবস্থা হইতে যৌবন অবস্থায় আসিলে যেরূপ দেহের অভ্যস্তর ও বাহিরে প্রত্যেক অণুতে অণুতে পরিবর্তন হইয়া যায়,–পুৰ্ব্বকার কিছুই আর সেভাবে থাকে না ; ভক্তিক্রোধাদি শক্তির উত্তেজনা হইলেওসেইরূপ আমাদের ‘আমির’—জীবাত্মার—সৰ্ব্বাঙ্গীন পরিবর্তন হয়, সকল অংশেরই পরিবর্তন হয়, কোন অংশই পরিবর্তন হইতে অবশিষ্ট থাকে না, অর্থাৎ প্রাসাদে চূৰ্ণলেপন করিলে, যেরূপ তাহার বহিস্থ-চৰ্ম্মটামাত্রই পরিবৰ্ত্তিত বা রূপান্তরিত হয়, সেইরূপ জীবাত্মার কেবল উপরে উপরেই কোন প্রকার পরিবর্তন হয় তাহা নহে, অন্তর বাহির । সৰ্ব্বত্রই পরিবর্তিত ও অন্যথা ভূত হইয়া থাকে। ভক্তি ক্রোধাদির অবস্থা ও বিকাশ প্রণালী আর একটু বিশদ ভাবে বিস্তার করিলেই ইহা পরিষ্কাররূপ বুঝিতে পারবে। অনেকবারই ইহা কথিত হইয়াছে যে, চৈতন্যের সহিত মাখামাখি ভাবাপন্ন-জ্ঞান-শক্তি, পরিচালন-শক্তি এবং পোষণ-শক্তি, এই তিন শক্তির সমষ্টিই আমাদিগের “আমি”—আমাদের জীবাত্মা--(৭৮ । ২৭ ) এবং এই শক্তিত্রয় যথাক্রমে সত্ব-শক্তি, রজঃশক্তি, আর তমঃশক্তি হইতে সমুহ পন্ন। ইহা স্মরণ করিয়াই,এই বক্তব্য বিষয়গুলি তোমাকে বুঝিতে হইবে। জ্ঞানস্বরূপ নির্ণয়ের অন্তর্গত ভক্তির প্রকৃতস্বরূপ নির্ণয় ভক্তিকালে, তোমার ‘আমির’—জীবাত্মার—অঙ্গ বা অংশ স্বরূপ জ্ঞানশক্তির উপাদানসমুশক্তির (১৭১৯৭২ পৃ) উত্তেজন হয়, তৎপর এই সৰু শক্তিরই কি একরূপ অদ্ভুত বিক্ষোভ হয়, যাহ অন্তরে অন্তরেই জানা যায়,