পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ তৃতীয় বাহিরে মুখে ব্যক্ত করা যায় না, তখন তোমার আমির' আর দুটি অঙ্গ অর্থাৎ রজঃশক্তি-সমুৎপন্ন-পরিচালনশক্তি(১৭১৷১৭২%),আর তমঃশক্তি-সমুৎপন্নপোষণ শক্তি (১৭১১৭২%)এতদুভয়ের সহিত উত্তেজিত-সত্বশক্তি,সমুৎপন্ন-ভক্তিশক্তি ঘোরতর সংগ্রাম উপস্থিত হয়, বিরুদ্ধ-শক্তির আক্রমণের দ্বারা বিরুদ্ধ শক্তির বলবৃদ্ধি পায় স্বতরাং সত্ত্বশক্তির উত্তেজন দ্বারা ক্ষণকালের নিমিত্ত রজঃ-শক্তি-সমুৎপন্ন পরিচালনশক্তি, আর তমঃশক্তি সমুৎপন্ন-পোষণশক্তি উত্তেজিত হইয়া উঠে। তখন (ভাবাবেশের প্রথম অবস্থায় ) হস্তাদির বিক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়, শিরঃ কম্পনাদিও হইয়া থাকে, কণ্ঠধ্বনি বিস্ফারিতভাবে হইতে থাকে, সন্নিহিত-শিরাদিৱ প্রবল বিক্ষেপদ্বারা চক্ষুকলিকার চতুৰ্দিগ বৰ্ত্তী-জলাকারপক্ষার্থ (অশ্রুবিন্দু) ঝরিতে থাকে, ফুসফুস প্রবল বেগে কাৰ্য্য করিতে থাকে,ঘনঘন বেগবান নিশ্বাসপ্রশ্বাস বহিতে থাকে। পরে ক্রমে সত্ত্বশক্তি বিস্কৃম্ভিত হইয়া বলবতী হইলে রজঃশক্তি আর তমঃশক্তি এককালীন ক্ষীণ হইয়া পড়ে সুতরাং রজঃশক্তি সমুৎপন্ন পরিচালনশক্তির কৰ্ম্ম (হস্তবিক্ষেপ, শিরঃকম্প, অশ্রুপাতাদি ) এবং তমঃশক্তি-সমুৎপন্ন—পোষণশক্তির কার্য্য (ঘন ঘন বেগবান নিশ্বাসাদি) আর থাকে না। শরীর নিস্তব্ধ হইয়া যায়। এখন তোমার আত্মার রজঃশক্তি সমুৎপন্ন পরিচালনশক্তি আর তমঃ শক্তি সমুৎপন্ন পোষণশক্তি, এই দুইটি অঙ্গ বা অংশ প্রায় বিলুপ্ত হইয়া পড়িল। এখন ভাবাবেশের পূর্ণাবস্থা হইল ; অন্তরে অন্তরে যেন কিরূপ একটা উৎফুল্লভাব—অমৃত নিশুন্দী আনন্দময়-ভাব প্রকাশিত হইল, এখন পূর্ণমাত্রায় ভক্তিশক্তির বিকাশ হইল,—এখন সমস্ত-বিষয়ের জ্ঞান, ধ্যান, চিন্তা, পরিচালনাদি এক কালীন নিস্তন্ধ হইয়া, কেবলই ভক্তি, কেবলই রস। এখন তোমার আমির মধ্যে বাহির হইতে একটা ভক্তি শক্তি আসিয়া যোগ দেয় নাই, কিন্তু তোমার আমির প্রত্যেক অংশই ভক্তি আকারে পরিণত হইয়া গেল। ভক্তির অবস্থাটি বাদ দিয়া জার তোমার আমির কিছুই অবশিষ্ট নাই। অতএব তোমর সবশক্তির যে ভাবটিকে ‘ভক্তি’ এই নাম দিতেছ, তাহ তোমার সম্পূর্ণ জামির জীবের একটা অবস্থান্তর মাত্র। সুতরাং ‘ভক্তি’ নামে একটা গুণ ৰা শক্তি পদার্থ তোমার আত্মাতে ‘জামিতে জন্মিতেছেন এবং এই ভক্তির