পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা। । { তৃতীয় عه لا অনুভব করিয়া আর পাচটির মৰ্ম্ম বুঝাই চেতন মনুষ্যের লক্ষণ। কিন্তু কি কারণে ঐক্সপ ঘটনা হয়, তাহ বোধ হয় জান না, তাহা গুন ; তোমার অন্তরে ধারণ আছে যে,"আমি এক জন সৰ্ব্বগুণসম্পন্ন ভাল লোক,আমি অতুল রূপবান, বিদ্যাবান, বুদ্ধিমান ধাৰ্ম্মিক, কীৰ্ত্তিমান ইত্যাদি ” যতক্ষণ এইরূপ ধারণা তোমার মধ্যে থাকে, ততক্ষণ তোমার আমি যেন উৎফুল্লতায় ফঁাপিয়া থাকে, জোয়ারকালে গঙ্গাজল ষেরূপ ফঁাপিয়া উঠিয়া গঙ্গাসংলগ্ন খাল, বিল, ঝিল, নালা, পয়নালা, সকলেরই মধ্যে প্রবেশ করিয়া সমস্ত পুরিয়া ফেলে, সেইরূপ সমস্ত শক্তিময় বা সমস্ত শক্তির সমষ্টি স্বরূপ তোমার আমি—তোমার জীব-বিক্ষুব্ধ হইয়া শক্তিতরঙ্গের উচ্ছাস দ্বারা সমস্ত মস্তিষ্ক, সমস্ত স্নায়ুমণ্ডল, সমস্ত পেষী, সমস্ত ধমনী, সমস্ত শিরা ও পদতলাবধি মন্তক পৰ্য্যন্ত সমস্ত চৰ্ম্মান্ত প্রদেশ পৰ্য্যন্ত আপ্লুত পরিব্যাপ্ত করিয়া থাকে। যখন “আমি বড় সুন্দর বলিয়া ধারণা হয়, তখন চিম্নির মধ্যবৰ্ত্তিজলস্তবৰ্ত্তিক যেরূপ আপন আলোক শক্তির দ্বারা সমস্ত গৃহটি সৰ্ব্বতোভাবে পূরিয়া রাখে, সেইরূপ চেতনালোকে আলোকিত—তোমার মস্তিত্বস্থিত শক্তিময় ‘আমিও উৎফুল্প হইয়া সমস্ত দেহ পূরিয়া দেহের অণুতে অণুতে একবারে মাখাইয়া যায়, অবিরোধে—অনর্গলভাবে ‘আমিরা শক্তি সমূহের স্রোত শরীরের বাহিরের দিকে প্রবাহিত হইতে থাকে, সমস্ত দেহটাই একটা উৎফুল্ল ‘আমি হইয়া যায়, পূর্ণমাত্রায় ‘অতিমাত্র দেহাত্মজ্ঞান’ (৮৯৷১৪ ও ৯৩১২) হইতে থাকে । “আমি বিদ্বান, আমি বুদ্ধিমান, আমি ধাৰ্ম্মিক’ ইত্যাদি সমস্ত প্রকার, অভিমানের কালেই আমাদের ‘আমির’—আত্মার—এইরূপ ঘটনা হইয়া থাকে তাহ অন্তরে অস্তরে অনুভব করিতে পারিলে অনায়াসেই বুঝিতে পারা যায়। এইরূপ অবস্থায় যখন তোমাকে ঐ সকল মিথ্যা জরুক্তি বর্ষণ করে, তখন তোমর ঐরূপ উৎফুল্লভাবে প্রবাহিত শক্তি সমূহের গতির প্রতিবন্ধক করা হয়,—তোমার ‘আমিকে যেন উজান পানে একটা ধাক্কা দেওয়া হয়। ., वथन बनिरद “छूभि अउि रिडौ निष्ठांख कू९निऊ किश निडाड भूध, পাপাত্মা, কুলাঙ্গার" ইত্যাদি, তখনই তোমার ঐরূপ ভাবাপন্ন ‘আমির' বিরুদ্ধে ক্রিয় হইল। ভাৰিয়া দেখ, তুমি যদি বাস্তবিকই একটা কুলাঙ্গার