পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ । ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । । [ छूडीौम्न .আহার জনিত সুখাবস্থা দ্বারাই ইহার দৃষ্টান্তটা বুঝিয় লও,— - আমাদের আহারের পূৰ্ব্বে শরীরের যে ৰে বস্তুর ক্ষয় ও অভাৰ হইয়া শরীরের অনুপযুক্ততানিবন্ধন আত্মার শক্তি গুলি অনর্গল ও অবাধভাবে পরিচালিত হইতে পারে নাই, এখন উপযুক্তমত আহারের দ্বারা সেই সমস্ত অভাব বিদূরিত হইলে, কিছুকাল পর্য্যন্ত আত্মার শক্তি গুলি অবাধে ও অনর্গল ভাবে বিসর্পিত হইলে, পরে উহার আর সেইরূপ নূতনত্ব থাকিল না, পুরাণ হইয়া পড়িল,—উহাই আত্মার একটা স্থায়ী অবস্থার মত হইয়া পড়িল, পূৰ্ব্বকার মত হঠাৎ পরিবর্তিত ভাবটা থাকেন, সুতরাং আত্মা আর তাহা গ্রাহ্য করেন, বিলক্ষণ অনুভব হইলেও সেটা গণ্য করে না ; সুতরাং তখন আর “মুখের অনুভব হয় না” ইহাই বলিয়া থাকে। বাস্তবিক কিন্তু আত্মার শক্তির ঐ পূৰ্ব্বোক্তরূপ অবস্থা থাকা পৰ্য্যন্তই পূৰ্ব্বাবস্থায় অনুভব থাকে, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। দ্বিতীয়ত শরীরের উপযুক্ত মত দ্রব্য আহরণ হইয়া গেলে, অর্থাৎ যে পরিমাণে তোমার দেহে স্নেহাদি পদার্থের আবশ্বক আছে, সেই পরিমাণে গ্রহণ হইয়া গেলে, শেষে তুমি বলপূৰ্ব্বক, কিম্বা লুন্ধত দোষে আবার গুড়াদিপদার্থ মুখে দিলেও তোমার শরীর আর তাহ সেই সহস্ৰ সহস্র শিরামুখের দ্বারা আত্মসাৎ করিবে না, সুতরাং তখন আর সেই পূৰ্ব্বকার মত শক্তিপরিচালনার আৰখ্যক পদার্থের অভাব মোচন হইয়া নূতন রকমে আত্মার শক্তির অবাধ ও অনর্গল ভাবে পরিচালনা বা প্রবাহের অবস্থা হইতেছে না, স্বতরাং তাহ আর তোমার গ্রাহ হইতেছে না, মুখাবস্থা বলিয়া গণ্য হইতেছে না, প্রত্যুত দুঃখজনকই বোধ হইতে থাকে। আবার ইহাও দেখ, কতকটা মিষ্টদ্রব্য আহারের পর, শেষে যে সেই মিষ্টাদি দ্রব্য সকল ছাইএর মত বোধহয় তাহা কাহারও অনবগত নাই। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে-দেহে ষে দ্রব্যের ৰে মাত্রায় প্রয়োজন হয়, যদি তদপেক্ষায়

  • .

অতিরিক্ত পরিমাণের সেই বৰ গুলি বলক্রমে হেলা করিতে থাকে, তাহা হইলে সেই বস্তু এক প্রকার বিষাক্তই হইয় পড়ে, আত্মার শক্তি । পরিচালনের-ব্যাঘাত জনক ইয়া পড়ে ; কারণ, দেহের মধ্যে আবশ্বক ৰত্তর অভাব হইলেও, দেহ যেরূপ অকৰ্ম্মণ্য আত্মার শক্তি পরিচাল