পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । 이 ধৰ্ম্মের বর্ণনা । নিরোধশক্তি হইতে সমুৎপন্ন ধৰ্ম্ম সমূহের মধ্যে, এমত অসংখ্য প্রকার ধৰ্ম্ম আছে, যাহার বিশেষ বিশেষ নাম নাই, শাস্ত্রে কেবল সেই গুলিকে “অপুৰ্ব্ব” মাত্রই বলিয়াছেন ; সুতরাং তাহার এক একটা লইয়া কাৰ্য্য প্রণালী দেখান নিতান্ত সুকঠিন । এ নিমিত্ত যে ধৰ্ম্ম গুলির বিশেষ বিশেষ নাম আছে, তাহাই লইয়া আমরা বিশেষ আলোচনা করিব। ফলতঃ ইস্কার সঙ্গে সঙ্গে অন্যগুলিও দর্শিত হইবে। সেই ধৰ্ম্মগুলি এই – ১ম ধৃতি, ( ধারণ করা স্মরণ রান্ধিবীর শক্তি ) * ; (২) ক্ষমা, ( কেহ অপকার করিলে যে তাহার প্রত্যপকারে প্রবৃত্তি হয়, সেই প্রবৃত্তিকে যে শক্তি দ্বারা নিরোধ করা যায় ) ; (৩) দম, ( শোক, তাপাদি দ্বারা কোন প্রকার চিত্তবিকৃতি উপস্থিত হইলে, যে শক্তি দ্বারা ঐ প্রবৃত্তিয় নিরোধ করা যায় ) ; (৪) অস্তেয়, (অবিধি পুৰ্ব্বক পরস্ব গ্রুণের প্রবৃত্তিকে যে শক্তিদ্বারা নিরুদ্ধ করা যায় ) ; (৫) শৌচ, (শরীর ও চিত্তের নিৰ্ম্মলভাব ) (৬) ইন্দ্রিয়নিগ্ৰহ, ( যে শক্তি দ্বারা ইন্দ্রিয়গণকে বিষয় হইতে নিরুদ্ধ করা যায় ) ; (৭) ধী, (শাস্ত্রাদি দ্বারা বস্তুর তত্ত্ব নিশ্চয় শক্তি—ধীশক্তি ) ; (৮) বিদ্যা, ( যে শক্তি দ্বারা অন্তরস্থ চৈতন্য স্বরূপ..পরমাত্মার আন্তরিক প্রত্যক্ষ করা যায়, শরীরাদি হইতে আপনাকে পৃথকৃরূপে জানা যায়, . * কোন একটা মাত্র বিষয় দেখিয়া বা শুনিয়া সাধারণতঃ ইন্দ্রিন্থের ক্রিয়া নিবৃত্ত হয় না, দর্শন জন্য পুনঃ পুনঃ ইন্দ্রিয়ের চাঞ্চল্য উপস্থিত হয় ; কিন্তু ইন্দ্রিন্থের তাদৃশী গতি কিঞ্চিৎ কালের জন্য নিরোধ করিলে, ঐ দর্শন বা শ্রবণ ক্রিয়া জনিত একটা সংস্কার—বা মনোমধ্যে যে একটা রেখা অঙ্কিত হয়, অর্থাৎ যদ্বারা ঐ দর্শন" বা শ্রবণ ক্রিয়াটি পুনৰ্ব্বার স্মৃতিরূপে মনে উপস্থিত হইতে পারে, সেই শক্তিটির নাম ধৃতি । কেহ কেহ ধৈর্য্যকেই ধৃতি বলিতে চাহেন, কিন্তু তাহ নিতান্ত ভ্ৰম । যে ধৈর্য্যকে তাহারা ধৃতি বলিতে চাহেন, সেই ধৈর্য্য পরোক্ত দম শক্তি ও ইস্ক্রিয় নিগ্ৰহাদি শক্তির মধ্যে অস্তর্নিহিত স্বতরাং এখানে আবার ধৈর্ধ অর্থ করিলে মসুর পুনরুক্তি দোষ ঘটে।