পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: સજી...] ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । ২৩১ উপযুক্ত ক্ষপ্তি ও বলের সহিত ঐরুপ স্বায়ুমণ্ডলের দ্বারা অনর্গল ভাবে চলিতে থাকে ; সেই অবস্থার নামই রসজনিত মুখ, সুতরাং শ্লেষ্মাধিক প্রকৃতির লোকে ঝাল ও লবণ রসের আস্বাদের আত্মাকেই মুখ বলিয়া অনুভব করে। কিন্তু ঝাল লবণাদি রসের দ্বারা যদি এত অধিক উত্তেজন হয় যাহাতে আত্মার শক্তিপরিচালনার উপযুক্ততা ছাড়াইয়া যায়, তাহা হইলে আবার আত্মা ৰাধা পায়, এ নিমিত্ত তখন স্থঃখ বলিয়াই আত্মার অনুভূতি হইয়া থাকে। শ্লেষ্মাধিক প্রকৃতির লোক যদি মধুর বা অন্ন রস খায়, তাহা হইলেও ঐ পূৰ্ব্বোক্ত মত ক্রিয়াই হয় ; ইহার—কারণ এই যে, উন্ন ও মধুর রসের আঘাত, লবণরসও কটু অপেক্ষায় কিছু মৃদু হইলেও, শ্বেমাধিক প্রকৃতির লোকের স্নায়ুর উত্তেজনা করিতে পারে ; কারণ উহারা মধ্যম পরিমাণের আঘাতপ্রদ রস ; এইজন্য মধুর ও অন্ন রসও শ্লেষ্মাধিক প্রকৃতির মুখপ্রদ বলিয়া বোধ হয় ; কিন্তু তিক্ত বা কষায়রস নিতান্ত মৃদ্ধ আঘাতজনক, এজন্য তদ্বারাশ্লেষ্মাধিক প্রকৃতির স্নায়ুর বিশেষ উত্তেজনা হয় না, আত্মার শক্তিও বেশ অনর্গলন্ধপে চলিবার মত উপায় উৎপন্ন হয় না ; তাই মুখামুভব বড় হয় না। সুতরাং শ্লেষ্মাধিক প্রকৃতির লোক তিক্তরস বড় পছন্দ করে না। ইহার মধ্যে আরও বহুতর কথা আছে, তাহা “অধ্যাক্স বিজ্ঞানে শুনিতে পারিবে। এখন পিত্তাধিক প্রকৃতির কথা শুন । . (পিত্তাধিক প্রকৃতির রসবিশেষে স্থখ দুঃখের - কারণ নির্ণয় । ) পিত্তাধিক প্রকৃতির লোকের স্নায়ু সমূহ ৰখন স্বভাবতঃই অধিক উত্তেজিত বা উষ্ণবীৰ্য্যতাপন্ন থাকে, আবার তিক্ত ও কষায় রসের দ্বারাও মৃছ মৃদ্ধ আঘাত হয় ; সুতরাং পিত্তাধিক প্রকৃতির লোক তিক্ত কষায় রস গ্রহণ করা মাত্র স্বায়ুমণ্ডলে অতিশয় মৃদ্ধ আঘাত লাগিয়া, ফেঁাড়ার উপর ধীরে ধীরে হাত বুলাইলে যেরূপ হাত বুলানর সেই, মৃদ্ধ আঘাতের দ্বারা অতিস্বল্পকালের জন্ত যে সেইখানকার স্বায়ু-রাশির উত্তেজনা একটু কম বোধ হয়, সেইরূপ রসনাবিসর্পিত স্নায়ুসমূহের উত্তেজনা একটু কমে ; তখন সহজ অবস্থায় আইসে, অর্থাৎ স্বাধুসমূহ যতটুকু উত্তেজিত