পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७8 א י"foותאת [ छूडीौभ्रे হইরা থাকে। ইগর নিগুড় মৰ্ম্ম বুঝিবার পূৰ্ব্বে প্রথম গন্ধ পদার্থটি বুৰিয়া লও —প্রায় সমস্ত বস্তুরই অতি স্বল্প স্বল্প অসম্বা অনুরাশি সৰ্ব্বদ চারিদিকে বিকীর্ণ হইয়া উড়ীয়া বেড়াইতেছে ; ঐ সকল দ্রব্যের সন্নিধানে থাকিলে উহাদের সেই পরম স্বল্প অণুরাশি,—যাহা চক্ষুর দ্বারাও লক্ষ্য করা যায় না, সেইগুলি উড়ীয়া গিয়া, স্বেরূপ আমাদের সর্বাঙ্গে সংলগ্ন হইয়া থাকে, তেমন নাসিক বিবরেও প্রবেশ করে, তৎপর সেই অণুরাশি হইতে এক প্রকার শক্তি গিয়া প্রথম আমাদের নাসিক্য স্নায়ুকে আধাত করে, তৎপর তাহাব জ্ঞানের ক্রিয়া হয়। এইরূপ শক্তি বিশেষের নাম ‘গন্ধ । • এই গন্ধাত্মক শক্তির ও তীব্রত্ব, যুদ্ধত্ব ও মধ্যমত্ব আছে,—কোন গন্ধ অতীব তীৰ, কোন গন্ধ নিতান্ত মৃদু, আর কোন গন্ধ শক্তি মধ্যম। বে গন্ধশক্তি স্নায়ুর মধ্যে তীব্র আঘাত করে তাহাই তীব্র, যে গন্ধশক্তি মৃদু আঘাত করে তাঁহা মৃত্ন, আর যাহা মধ্যম আঘাত করে তাহা মধ্যম। গোলাপ ও ৰাতি পুষ্পাদির গন্ধ অতিশয় মৃদ্ধ আঘাত করে, হিঙ্গ পলাণ্ডু, ও চম্পকাদির গন্ধ অতিশয় তীব্র আঘাত করে, এবং বকুল ও জাম মুকুলাদির গন্ধ মধ্যম আঘাত করে। অতএব পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মুহিসারে পিত্তালিক প্রকৃতি লোকের পক্ষে গোলাপাদির গন্ধ মুখ জনক অর্থাৎ তাহার আত্মার অনর্গলভাবে গতিজনক ; তাই ঐ জাতীয় গন্ধ পিত্তাধিক লোকে ভাল বাসে। আর পলাও প্রভৃতির গন্ধ তাহার পক্ষে একরূপ দুঃখ জনক, অর্থাৎ নাসিক্য স্নায়ুর দ্বারা আত্মার শক্তি প্রবাহের বাধা জনক, চম্পকাদির গন্ধ ও কতক পরিমাণে ঐ রূপ বটে, তাই ঐ সকল গন্ধ সে বড় ভাল বাসে না। এইরূপ শ্লেষ্মাধিক লোকের পক্ষে চম্পকাদির গন্ধ মুখ জনক, অর্থাৎ তাছাদের নাসিক্য স্বায়ুর দ্বারা আত্মা গতি বিধির অনর্গলতাজনক ; জার বকুলাদির গন্ধও কতক পরিধাণে বটে, কারণ তাছাদের ও গন্ধ শক্তি মধ্যম আৰান্ত করে। কিন্তু গোলপাদির গন্ধ তাহার পক্ষে এক হিসাবে ছঃখজনক, অর্থাৎ আস্থার শক্তির, নাসিক স্নায়ুর দ্বারা, গতি বিধি করিতে কিছুই উপকারকতা জন্মায় না, তাই শ্লেষ্মাধিক প্রকৃতির লোক