পাতা:ধর্ম্মব্যাখ্যা (প্রথম পর্ব্ব).djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ ধৰ্ম্মব্যাখ্যা । [ छूडौग्न স্বরে পরাহত হয়। যাহা হউক তথাথি তোমাদের অনুরোধে কিছু কিছু বলিতে হয়। পূর্বেই বলিয়াছি যে, যে সকল বস্তুর গন্ধ আমরা পাই, ঐ সকল বস্তুর অতি স্বক্ষ, অণুরাশি আমাদের নাসিক রন্ধে প্রবেশ করে। মল মুত্রাদি অত্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ, উহার অণুরাশি নাসিক বিবরে প্রবেশ পূর্বক স্নায়ুর মুখগুলি অবসন্ন করিয়া ফেলে সুতরাং তাহাতেই তীব্র ,দুঃখের অনুভূতি হয়, কারণ বিষ আত্মার শক্তি পরিচালনার তীব্রতর বাধাপ্রদান করে। অতএব আর মুখ হইবে কোথা ইতে ? রসও গন্ধের ন্যায়0রূপ, স্পর্শ ও শব্দজনিত সুখ দুঃখ বিষয় ও জানিবে। রূপ, স্পর্শ এবং গন্ধ ও এক একটি শক্তি বিশেষ ইহাদের ও তীব্রত্ব, মৃদুত্ব ও মধ্যমত্ব আছে, ইহারা ও স্বায়ু সমূহে সংস্থষ্ট হইলে তীব্র আযাত, মৃদ্ধ আঘাত ও মধ্যম আঘাত করিয়া থাকে, সেই আঘাতের দ্বারাও স্নায়ুসমূহের উত্তেজনাদি হইয়া থাকে, এবং শ্লৈষ্মিকাদি এক এক প্রকৃতি অনুসারে এক এক প্রকার রূপস্পশাদি আমাদের মুখজনক হয়, অর্থাৎ আত্মার অনর্গলভাবে পরিচালক হর, আর এক এক প্রকার প্রকৃতি অনুসারে আমাদের দুঃখজনক হয়, অর্থাৎ আত্মার বাধাদায়ক হয়। অতএব ইহা নিশ্চয় হইল যে, মুখ নামে বা দুঃখ নামে কোন একটা গুণ বা শক্তিবিশেষ নাই, আত্মারই অনর্গল বা অবাধিত অবস্থার নাম ‘মুখ, আর আত্মারই বাধিত অবস্থা বা ঠেকাঠেক অবস্থাটার নাম ‘দুঃখ । সুখদুঃখ যদি বাহিরের বস্তু দ্বারা নুতন কোন একটা গুণ বা শক্তিবিশেষ আত্মাতে উৎপন্ন হইত, তবে সকল প্রকার বস্তু দ্বারাই সকলের সমান মুখ দুঃখ হইত, এবং যে বস্তুদ্বারা মুখ হয় সেই বস্তু, আর পুরাতন না হইয়া সৰ্ব্বদাই সুখপ্রদ হইত, যে শয্যাসনাদি ব্যবহারে অাজ মুখ বা দুঃখবোধ হইল, ঠিক সেই শয্যাসনাদি ব্যবহারে ঠিক সেই একইরূপ সুখ দুঃখ সৰ্ব্বদাই হুইত, কিছুদিন মুখবোধ বা দুঃখবোধ হইয়া আর তাহাতে অরুচির কোলও কারণ ছিল না, ইত্যাদি আরও অনেক ख्थंी एषांटक् ।। * মুখ দুঃখাদি বিষয় যাহা কিছু বলিতেছি ও বলিব কেবল যতটুকু প্রসঙ্গ ক্রমে ধৰ্ম্মব্যাখ্যায় প্রয়োজনে আসিবে তাহাই। আমার “অধ্যাত্ম বিজ্ঞানে”